শেষ_পর্যন্ত পার্ট: ১৪

0
1999

শেষ_পর্যন্ত

পার্ট: ১৪

লেখিকা: সুলতানা তমা

সকালে কপালে কারো ঠোঁটের উষ্ণ ছুয়ায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো, তাকিয়ে দেখি আলিফা। আমি সজাগ হয়ে গেছি দেখে আলিফা কেমন যেন হকচকিয়ে উঠলো, তাড়াতাড়ি চলে যেতে চাইলো। আমি ওকে টান দিয়ে জরিয়ে ধরলাম কেমন যেন অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে আমার দিকে, চোখে পানি ছলছল করছে।
আমি: কি হয়েছে
আলিফা: কিছু নাতো
আমি: লুকাচ্ছ কেন তোমার চোখের পানিই তো বলে দিচ্ছে কিছু হয়েছে তোমার
আলিফা: কিছু হয়নি উঠো
আমি: ভালোই যখন বাস লুকাচ্ছ কেন, ভালোবাসা কি লুকানো যায়
আলিফা: রিফাত ছাড়ো ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো
আমি: আগে বলো ভালোবাস কিনা
আলিফা: জানিনা (আমার বুকে মাথা রেখে কান্না করছে, কি হয়েছে ওর কিছুই বুঝতে পারছি না)
আমি: আলিফা কান্না না করে বলো আমাকে কি হয়েছে
আলিফা: কিছু নাতো।
আমার দিকে তাকিয়ে শুকনো একটা হাসি দিলো তারপর চলে যাওয়ার জন্য উঠতে চাইলো। ওর মুখটা আমার মুখের কাছে এনে ওর ঠোঁটে আলতো করে একটা চুমু দিলাম। আলিফা লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে চলে গেলো।

সবাই একসাথে বসে নাশতা করছি হঠাৎ আলিফার ফোন বেজে উঠলো, আশ্চর্য ফোন সাথে নিয়ে নাশতা করতে এসেছে। আলিফা তাড়াতাড়ি ফোন নিয়ে রুমের দিকে চলে গেলো, মনে হচ্ছে ও কারো ফোনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
রিয়ান: ভাইয়া হানিমোনে যাওয়ার প্ল্যান কি করেছ প্লিজ তাড়াতাড়ি গিয়ে ফিরে এসো আমি ব্যবসা সামলাতে পারছি না
আব্বু: যাওয়ার আগেই বলছিস তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে, তাড়াতাড়ি আসতে হবে না আমি কয়েক দিন নাহয় অফিসে যাবো
আমি: না আব্বু তোমার আর যাওয়ার প্রয়োজন নেই দুভাই সব সামলে নিতে পারবো। আর আমি এক্ষণি আলিফার সাথে কথা বলে দেখছি
রিয়ান: ভাইয়া প্লিজ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব যাও
আমি: ওকে।

নাশতা করে সবার সাথে অনেক্ষণ গল্প করে রুমে আসলাম। আলিফা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে, এতো সময় ধরে আলিফা কার সাথে কথা বলছে রাতুল নয় তো….?
আমি: আলিফা কার সাথে কথা বলছ
আলিফা: (নিশ্চুপ)
আমি: আলিফা আমি তোমায় কিছু জিজ্ঞেস করেছি
আলিফা: (নিশ্চুপ)
এতোক্ষণ ধরে ডাকছি কথা বলছে না তাই ওর কাছে গিয়ে কাধে হাত রাখলাম ও পিছন ফিরে একবার তাকিয়ে বারান্দায় চলে গেলো, আলিফা ফোনে কথা বলছে আর কাঁদছে। কিন্তু কার সাথে কথা বলছে আর কাঁদছেই বা কেন…?

বারান্দায় এসে আলিফার পাশে দাঁড়ালাম ও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে, আর ভালো লাগছে না ওর কান্না দেখতে।
আমি: আলিফা কি হয়েছে কাঁদছ কেন
আলিফা: এমনি
আমি: কে ফোন করেছে
আলিফা: বিরক্ত করোনা তো যাও এখান থেকে
আমি: আগে বলো তুমি কাঁদছ কেন
আলিফা: বললাম তো এমনি (চেঁচিয়ে উঠলো)
আমি: আশ্চর্য তো কাঁদছ কেন জিজ্ঞেস করাতে এতো রেগে যাচ্ছ কেন
আলিফা: তো কি করবো কি উত্তর দিবো তোমাকে, আমার কান্নার কারণ তো তুমিই
আমি: মানে
আলিফা: একদিনে সবকিছু উলটপালট করে দিয়েছ এখন আমি কি সিদ্ধান্ত নিবো নিজেই বুঝতে পারছি না, রাতুল সমানে আমাকে ভুল বুঝে যাচ্ছে। এতো যন্ত্রণা আর নিতে পারছি না ইচ্ছে হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেই (ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারলাম ওকে কতো বড় কথা বলে ফেলছে নিজেকে নাকি শেষ করে দিবে)
আমি: অন্যায় করলে আমি করেছি শাস্তি দিতে হলে আমাকে দাও নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা ভাবছ কেন
আলিফা: (নিশ্চুপ হয়ে গালে হাত দিয়ে কাঁদছে)
আমি: মানছি আমি তোমার মনের কথা না জেনে বিয়ে করে অন্যায় করেছি তাই বলে….
আলিফা: তোমার একটা অন্যায় যে আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে সেটা কি বুঝতে পারছ
আমি: প্রথম বুঝেছিলাম কিন্তু তোমার গতকালের ব্যবহারে ধারনাটা পাল্টে গিয়েছিল কিন্তু আজ দেখছি তুমি রাতুলকেই ভালোবাস
আলিফা: হ্যাঁ আমি রাতুলকেই ভালোবাসি শুনতে পেয়েছ তুমি।
আমার সব ভাবনা তাহলে মিথ্যে ছিল আলিফা এসব কি বলছে। আর ওর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না, বাসা থেকে বেরিয়ে আসলাম।

সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় কাটিয়েছি ফোনটাও সাথে আনা হয়নি আব্বু হয়তো টেনশন করছেন। বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না। বাসায় গেলেই তো আলিফার সামনে যেতে হবে, ওকে দেখলেই এখন রাগ উঠবে শুধু রাতুল রাতুল করে আর আমি যে ওকে পাগলের মতো ভালোবাসি তার কোনো দাম নেই।

সন্ধ্যা নেমে এসেছে রাস্তার পাশে বসে বসে ভাবছি, রাগের মাথায় কতো জোরে থাপ্পড় মেরে দিলাম পাগলীটা অনেক কষ্ট পেয়েছে গালে মনে হয় দাগ পরে গেছে।
সাগর: রিফাত তুই রাস্তার পাশে বসে কি করছিস (হঠাৎ সাগরের ডাকে ওর দিকে ফিরে তাকালাম)
সাগর: কিরে কি হয়েছে তোর কাঁদছিস কেন
আমি: এমনি
সাগর: বাসায় চল কিছু তো একটা হয়েছে
আমি: বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না
সাগর: আমার বাসায় চল
আমি: হুম

সাগরের বাসায় বসে আছি ইচ্ছে হচ্ছে না বাসায় ফিরে যেতে।
সাগর: রিফাত সব তো শুনলাম এখন কি করবি
আমি: জানিনা
সাগর: আমার কি মনে হয় জানিস ভাবি দুটানায় পরে গেছে তাই আজ তোর সাথে এমন ব্যবহার করেছে
আমি: হুম আর ও এইটা সারাজীবন করবেও আর আমি সেটা সহ্য করতে পারবো না
সাগর: আমার মনে হয় তোর ভাবিকে সময় দেওয়া উচিত, ভাবির মন কি চায় সেটা উনাকে বুঝতে দে দেখবি উনি নিজেই সব ঠিক করে নিয়েছেন
আমি: সময়
সাগর: হ্যাঁ তুই ভাবিকে ভাবির মতো থাকতে দে তুই তোর মতো থাক, তবে যেমন ভালোবাসিস তেমন ভাবেই ভালোবেসে যা। ভাবি সময় পেলে আস্তে আস্তে বুঝতে পারবে কি করলে ভালো হবে বা উনার মন কি চায়
আমি: হুম
সাগর: এখন বাসায় যা অনেক রাত হয়েছে
আমি: ইচ্ছে করছে না
সাগর: আঙ্কেল কে কষ্ট দিবি নাকি
আমি: নাহ যাচ্ছি

আনমনে হয়ে রাস্তায় হাটছি আর ভাবছি সত্যি আলিফাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। হঠাৎ করে এতোকিছু হয়ে গেলো মেয়েটা কি করবে, সময় না পেলে ও নিজের মনের কথা বুঝবে কিভাবে। বাসায় এসে কলিংবেল চাপতেই প্রিতি দরজা খুলে দিলো।
আমি: ঘুমাস নি
প্রিতি: সারাদিন কোথায় ছিলে
আমি: সুমনের বাসায়
আব্বু: তোর থেকে এইটা আশা করিনি রিফাত, কাউকে কিছু না বলে সারাদিন বাসার বাইরে ছিলি এসব কি রিফাত
আমি: আব্বু….
আব্বু: রিফাত আমি বলছি নিজে সময় নে বউমা কে সময় দে দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে
আমি: হুম
আব্বু: রুমে যা বউমা আজ একবারো নিচে আসেনি
আমি: হুম

রুমে এসে দেখি আলিফা ফ্লোরে ঘুমিয়ে আছে। ফ্লোরে বসে কাঁদতে কাঁদতে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। কোলে তুলে ওকে নিয়ে খাটে শুয়ে দিলাম। ওর শরীরে বিছানাচাদর টেনে দিতেই ঘুমের ঘোরে আমাকে জরিয়ে ধরলো। আলিফার ঠোঁটের একদম কাছে আমার ঠোঁট, ওর গরম নিঃশ্বাস আমার মুখে পড়ছে। আলিফার গালে কিছু চুল এলোমেলো হয়ে পরে আছে হাত দিয়ে চুলগুলো সরাতে গিয়ে দেখি গালে আঙ্গুলের দাগ বসে আছে। নিজের প্রতি খুব ঘৃণা হচ্ছে ভালোবাসার মানুষকে কেউ এভাবে আঘাত করে। কিন্তু আমারই বা কি করার ছিল, আলিফা নিজেকে শেষ করে দিতে চাইছিল ওর কিছু হলে আমি বাঁচবো কিভাবে। গালের দাগ গুলোর উপর একটা চুমু দিয়ে আলিফার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম তারপর সোফায় এসে শুয়ে পড়লাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আলিফা এখনো ঘুমাচ্ছে, গালের দাগ গুলো এখনো দেখা যাচ্ছে। ওকে আর না ডেকে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।

নাশতা করতে এসে দেখি আলিফাও চলে এসেছে।
আমি: আব্বু আজ থেকে আমি অফিসে যেতে চাচ্ছি
আব্বু: কিন্তু হানি….
আমি: আব্বু প্লিজ এসব বাদ দাও আমি ভালই আছি
আব্বু: হুম
আমি: রিয়ান খেয়ে রেডি হয়ে নে এক সাথেই যাবো
রিয়ান: হুম।
একদিকে চাকু দিয়ে আপেল কাটছি আরেক দিকে আলিফাকে দেখছি হঠাৎ চাকু হাতে লেগে গেলো।
আব্বু: কিযে হয়েছে তোর হুশ রেখে কাজ করবি তো, প্রিতি যা তো ওর হাতে ব্যান্ডেজ করে দে
আলিফা: আব্বু আমি করে দিচ্ছি, রিফাত রুমে চলো।

রুমে এসে চুপচাপ বসে আছি আলিফা ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে, এখন দেখে বুঝার উপায় নেই ও যে আমাকে নয় রাতুলকে ভালোবাসে।

অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছি কিন্তু শার্টের বোতাম লাগাতে পারছি না হাত ব্যথায়। আলিফা এসে আমার হাত সরিয়ে দিয়ে নিজেই বোতাম লাগিয়ে দিলো। নাহ আর মায়া বাড়াতে চাই না।
আমি: আলিফা এসব সহানুভূতি দেখানো ছাড়ো
আলিফা: মানে
আমি: সকালে আমায় ভালোবাসবে আর বিকেলে বলবে রাতুলকে ভালোবাস আবার বিকেলে আমায় ভালোবাসবে আর সকালে বলবে রাতুলকে ভালোবাস সেটা তো হতে পারে না। আলিফা দু নৌকায় পা দিয়ে সাগর পারি দেওয়া যায় না তাই তোমাকে যে কোনো একজন কে বেছে নিতে হবে। আর এজন্য আমি তোমাকে সময় দিচ্ছি তুমি ভাবো সময় নাও তোমার মন কি চায় বুঝ তারপর সিদ্ধান্ত নাও
আলিফা: সময়
আমি: হ্যাঁ, তুমি তো বলেছিলে রাতুল সাত মাস পর দেশে আসবে তাই তোমাকে আমি সাত মাস সময় দিচ্ছি এই সাত মাসে তুমি বুঝার চেষ্টা করো তুমি কার কাছে থাকতে চাও
আলিফা: রিফাত আমার কথা শুনো আগে
আমি: যা শুনার সাত মাস পর শুনবো, তখন যদি ভালোবাস বল তাও মেনে নিবো যদি ডিভোর্স চাও তাও দিবো
আলিফা: রিফাত আ….
আলিফার কোনো কথা না শুনে বেরিয়ে আসলাম।

সারাদিন অফিসের কাজে মন দিতে পারিনি বার বার শুধু আলিফার কথা মনে পড়েছে। আচ্ছা সাত মাস পর আলিফা আমাকে মেনে নিবে তো নাকি….
এখন ছোটমার কথাই মনে রাখতে হবে নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস হারালে চলবে না। আলিফাকে আমি সবসময় ভালোবেসে যাবো কিন্তু ও কি চায় সেটা সাত মাস পর ওর মুখ থেকে শুনবো।

রাতে বাসায় ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেলো, রুমে এসে দেখি আলিফা শুয়ে শুয়ে ফোনে কথা বলছে। ওকে কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।

ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি আলিফা রুমে নেই হয়তো বারান্দায় গিয়ে কথা বলতেছে, আমি নিচে চলে আসলাম। নিচে এসে তো আমি অবাক আলিফা রিয়ানকে ভাত দিচ্ছে।
আমি: রিয়ান প্রিতি কোথায়
রিয়ান: ঘুমিয়ে পড়েছে তাই আর ডাকিনি আমি নিজেই নিয়ে খাচ্ছিলাম তখন দেখি ভাবি…
আমি: আলিফা আমরা দুভাই নিজেই নিয়ে খেতে পারি তুমি রুমে চলে যাও
রিয়ান: ভাইয়া কি বলছ এসব
আমি: একটু আগে ও রাতুলের সাথে কথা বলছিল আর এখন আসছে আমাকে ভাত দিতে, ও তো দুদিকেই ঠিক রাখতেছে এভাবে তো চলা যায় না ওকে যে কোনো একজন কে বেছে নিতে হবে
আলিফা: এর জন্য তো তুমি আমাকে সাত মাস সময় দিয়েছ তো আজই এতো রাগ দেখাচ্ছ কেন। তাছাড়া আমি নিজেও খাইনি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করে আমার খিদে লেগেছে
রিয়ান: ভাইয়া প্লিজ খেয়ে নাও
আমি: খিদে চলে গেছে।

রুমে এসে শুয়ে পড়লাম, রাগ দেখিয়ে চলে আসলাম কিন্তু খিদে তো লেগেছে খুব।
আলিফা: খাবার এনেছি খেয়ে নাও
আমি: এই মেয়ে তুমি চাওটা কি দুদিকেই ঠিক রাখতেছ, যেকোনো এক রাস্তা বেছে নাও না
আলিফা: একদম চুপ, হাত তো কাটা আমি খাইয়ে দিচ্ছি
আমি: লাগবে না
আলিফ: আগে আমার হাতে খাওয়ার জন্য বাহানা করতে আর এখন না করো ভালোবাসা কমে গেছে নাকি।
এই মেয়ের সাথে কথায় পারবো না তাই চুপচাপ খেয়ে নিলাম। আমাকে খাইয়ে দিয়েই আলিফা আবার ফোনে কথা বলতে চলে গেলো, কি আজব মেয়েরে বাবা। ওর এসবে তো আমি বার বার কনফিউজড হয়ে যাচ্ছি আসলে ও চায়টা কি।

রাত প্রায় দুটু বাজে ঘুম আসছে না আলিফা এখনো ফোনে কথা বলছে। কিছুক্ষণ পর রুমে আসলো।
আলিফা: রিফাত আমি একটা কথা ভেবেছি
আমি: যা ভেবেছ সাত মাস পরে বলো, এখন তোমার যা খুশি করো কিছু বলবো না কিন্তু সাত মাস পরে যদি তুমি কোনো সিদ্ধান্ত না নাও তাহলে আমি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো
আলিফা: হুম
আমি: মনে রেখো সাত মাস।

দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছে কিন্তু আমি এখনো বুঝতে পারিনি আলিফা আসলে কাকে ভালোবাসে কার কাছে থাকতে চায়। সকালে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করলে বিকেলে খারাপ ব্যবহার করে আবার রাতুলের সাথেও সমানে কথা বলে যাচ্ছে, ও চাইছেটা কি আমি বুঝতেই পারছি না আমি কি আদৌ আলিফার মনের কথা বুঝতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই, সাত মাসের অপেক্ষা….

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে