মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০২

0
1170

মিশন হার্ডডিস্ক পর্বঃ ০২
লেখকঃ আবির খান

পরেরদিন সকাল ১০.৩৪ মিনিট,

প্রিতম ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেতে যায়। ও খুবই টেনশনে আছে৷ এই মিশনটা খুবই রিস্কের। না জানি কি থেকে কি হয়। প্রিতম চুপচাপ নাস্তা খাচ্ছে কোনো কথা বলছে না। প্রিতমের মায়ের কাছে বিষয়টা ভালো লাগছে না। তাই তিনি প্রিতমকে জিজ্ঞেস করলেন,

মাঃ কি হয়েছে খোকা?? এরকম চিন্তিত হয়ে আছিস কেন?? সব ঠিক আছে তো??

প্রিতম ভাবতে ভাবতে আস্তে করে বলল,

প্রিতমঃ মা নতুন মিশন পেয়েছি।

প্রিতমের মায়ের মনটা সাথে সাথেই খারাপ হয়ে যায়। তাও নিজেকে সামলে বলেন,

মাঃ এর আগে কত মিশনে তুই সফল হয়েছিস। তাহলে চিন্তা কীসের??

প্রিতমঃ মা এই মিশনটা খুব ভিন্ন। আগা গোড়া কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। যা পেয়েছি তাতে কাজ হবে কিনা কে জানে।

মাঃ তুই পারবি আমার বিশ্বাস। এতো চিন্তা করিস না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখ আর সামনে এগিয়ে যা। তোকে কেউ হারাতে পারবে না। তুই পারবি বাবা। অবশ্যই পারবি।

প্রিতম মাথা তুলে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,

প্রিতমঃ সত্যি মা পারবো??

মাঃ ইনশাআল্লাহ পারবি।

প্রিতমঃ ওকে মা দোয়া করো। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। আমি এখন উঠি অনেক কাজ আছে।

মাঃ আচ্ছা খোকা। কিন্তু মনে রাখিস, যাই করবি সাবধানে।

প্রিতমঃ আচ্ছা।

বলেই প্রিতম বেরিয়ে পড়ে। প্রিতম গেলে ওর মা আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে কান্না করতে করতে বলে,

মাঃ আল্লাহ আমার ছেলেটাকে তুমি দেখে রেখো। তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।

প্রিতম ফোন করে সবাইকে নিয়ে ওদের সিক্রেট বেইসে বসে। ওর টিমের বাকি মেম্বার’রা এখনো কিছুই জানে না। সবাই একসাথে হলে,

সালমানঃ কি হইছে ভাই?? সবাইকে ডাক দিলি?? কোন সমস্যা??

বাকিরাঃ হ্যাঁ আসলেই কি হইছে দোস্ত??

প্রিতমঃ দেখ, আমি জানি মাত্র তোরা একটা মিশন শেষ করলি কিন্তু..

সবাইঃ কিন্তু কি দোস্ত??(চিন্তিত হয়ে)

প্রিতমঃ নতুন মিশন….

সবাইঃ নতুন মিশন!!! (অবাক হয়ে)

প্রিতমঃ হ্যাঁ। আর এটা যেই সেই মিশন না। অনেক রিস্ক আর গুরুত্বপূর্ণ একটা মিশন। “মিশন হার্ডডিস্ক”

সবাইঃ “মিশন হার্ডডিস্ক”!! দোস্ত সব খুলে বলতো। কিছুই বুঝতেছি না।

প্রিতমঃ গত পরশুদিন রাতের দিকে আমাদের একটা সিক্রেট বেইস থেকে একটা হার্ডডিস্ক চুরি হয়। এই হার্ডডিস্কে আছে আমাদের দেশের নিরাপত্তার অনেক তথ্য। যা এখন বর্তমানে শত্রুর হাতে।

নিরবঃ কিহহ!! তাহলে তো এতোক্ষণে ওরা সব জেনে গিয়েছে।

প্রিতম আইপ্যাডটা হাতে নিয়ে ওদের সামনে রেখে বলে,

প্রিতমঃ না এখনো পারেনি। পারলে এই আইপ্যাড এ ম্যাসেজ আসতো। ওরা পারে নি কারণ, আমাদের চিফ রায়হান স্যারের নিজস্ব হাইটেক সিকিউরিটি দেওয়া হার্ডডিস্কে। যার পিন শুধু তিনি একাই জানেন। তবে শত্রু পক্ষ এটিকে যতবার সিকিউরিটি ব্রেক করতে নিবে এই আইপ্যাডে ততবার তাদের লোকেশন চলে আসবে৷ কারণ হার্ডডিস্কে লাগানো আছে স্পেশাল জিপিএস। যা এই হার্ডডিস্ককে যতবার সক্রিয় করবে আর তার লোকেশন পাঠাবে।

শামিমঃ তাহলে তো খুব সহজেই এটা বের করা যায়। লোকেশন ট্র‍্যাক করে হার্ডডিস্ক বের হয়ে আসবে৷

প্রিতমঃ না শামিম, এরা অনেক চালাক। এরা এই হার্ডডিস্ক সম্পর্কে সব জানে। তাই এরা এখন পর্যন্ত ৯ জায়গায় এটাকে এক্সেস করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারে নি।

সবাইঃ তাহলে এখন আমরা কি করতে পারি??

প্রিতমঃ আমাদের কাজ হচ্ছে এই হার্ডডিস্ককে খুঁজে বের করা। এবং সেটা করতে হবে এটাকে এক্সেস করার আগে।

রবিনঃ সবই বুঝলাম। কিন্তু দোস্ত এটা কি সম্ভব??

প্রিতমঃ আমারও মনে হয়েছিল এটা অসম্ভব। কিন্তু সারারাত কাজ করে আমি একটা প্ল্যান করেছি।

সবাইঃ কি দোস্ত??

প্রিতমঃ তাহলে শোন, এই যে ৯ জায়গার লোকেশন আমরা পেয়েছি তা ঢাকার ভিতরেই। ঢাকার বাইরে এখনো যাওয়া হয়নি। এই যে ৯ জায়গা, এগুলো সব কোলাহল মুক্ত জায়গা। আর সবচেয়ে মজার কথা হলো, এই ৯ টি জায়গা একটি জায়গা হয়ে যায়। আর তাহলো “আরকে পয়েন্ট”। আমার বিশ্বাস এই হার্ডডিস্ক এখানে কোথাও আছে।

সালমানঃ কিন্তু আরকে পয়েন্ট তো খুবই কোলাহল পূর্ণ একটি জায়গা।

প্রিতমঃ ইয়েস। এখানেইতো আমার ছকটা মিলেছিল। ওরা কোলাহল থেকে এমন সব জায়গায় যায় যেখানে কেউ থাকে না। আর আমি নিশ্চিত ওরা কোন বড় গাড়িতে যায়।

শামিমঃ তাহলে আর কি চল সবাই মিলে আরকে পয়েন্টে অ্যাটাক করি।

প্রিতমঃ এটাইতো সমস্যা।

সবাইঃ কি সমস্যা!!

প্রিতমঃ আরকে পয়েন্ট একটা বিশাল পাবলিক প্লেস। এখানে ফায়ারিং করার কোন ওয়ে নেই। যদি একটা গুলি পাবলিকের গায়ে লাগে তাহলে আমার এই পেশায় আসাটাই অনার্থক হবে।

সবাইঃ তাহলে??

প্রিতমঃ চিন্তার কিছু নাই। যদি আমার ধারণা ঠিক হয় তাহলে ওরা এরপর কোথায় যেতে পারে আমরা তা চিন্তা করে আমরা ওদের আগেই ওখানে গিয়ে থাকবো। জিপিএস অন হওয়া মাত্রই ওদের খুঁজে বের করবো। আর একটা কথা..

সবাইঃ কি দোস্ত??

প্রিতমঃ আমাদের কিছু লোক আরকে পয়েন্ট এর মধ্যে ছদ্দ বেশে ঢুকিয়ে দিতে হবে যাতে কোন প্রকার ক্লু আমাদের হাত থেকে মিস না হয়।

সবাইঃ বাহ দোস্ত। তুই বেস্ট। তোর টিমের মেম্বার হয়ে আমরা ধন্য।

প্রিতমঃ হয়েছে আর পাম দিতে হবে না। খুব সিরিয়াসলি আমাদের এই মিশনটা শেষ করতে হবে। আশা করি আমি যেভাবে ভেবেছি ঠিক সেভাবেই যেন কাজটা হয়।

সবাইঃ হবে হবে দোস্ত চিন্তা করিস না।

প্রিতমঃ হুম।

এরপর প্রিতম আর ওদের বাকি টিম মেম্বার’রা শুটিং প্রেক্টিস করতে চলে যায়।

অন্যদিকে,

ফোনে,
– “কাজ হয়েছে??”

– “না বস। আমরা চেষ্টা করতেছি।”

– “শোন, যেভাবে হোক এটা খুলে আমাকে দিবি। কোটি টাকার খেলা কিন্তু।”

– “জি বস। শা**য় এমন সিকিউরিটি দিছে আবার জিপিএস এর খেলা কোন ভাবেই কাজ হচ্ছে না।”

– “হাসান… আমি না শুনতে পছন্দ করিনা। যেমনে হোক খুলে নিয়ায়। আর যাই করবি সাবধানে।”

– “জি বস।”

– “নেক্সট কই??”

– “মিরা রোড।”

– “আচ্ছা।”

প্রিতম সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে। এর মাঝে ও আরকে পয়েন্ট এ ওদের লোক ফিট করে আসে। কেউ হকার, কেউ চা বিক্রিওয়ালা, কেউ দোকানদার এভাবে। সবার কাছেই ব্লুটুথ আছে। সবাই সবার সাথে কানেক্টেড। এরা সবাই বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে সবার প্রতি নজর রাখছে। এদের সবাইকে আবার প্রিতম কন্ট্রোল করছে। প্রিতম বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খেয়ে কাজে বসে পড়ে।

প্রিতম আরকে পয়েন্টের ম্যাপ নিয়ে বসে৷ গত ৯ জায়গা আরকে পয়েন্ট থেকে বেশ কাছেই ছিল। এই আধা ঘণ্টার মতে সময় লাগে প্রতি জায়গা থেকে। প্রিতমের এখন কাজ হলো এমন আরো কয়েকটা জায়গা বের করা। প্রিতম অনেক গণিত হিসাব করে কয়েকটা জায়গা বের করে। যেমন; সালাম ডেইরী মোড়, শান্তিবাগ, হীরুমিয়া লেন, মিরা রোড আরো কয়েকটা আছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে কোনটা হতে পারে??

রাত ১১.৩৬ মিনিট,

প্রিতমের মাথা ভো ভো করে ঘুরছে৷ কীভাবে যে কি করবে কোন জায়গাটায় যে যাবে তা মাথায় আসছে না। তাই পিস্তলটা লোড করে পিছনে ভরে মাকে বলে বাইরে হাঁটতে বের হয়। প্রিতমের এটা পুরনো স্বভাব। মাথায় কিছু না আসলেই বাইরে ঘুরতে বের হয়। তাই আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।

প্রিতম ওর বাসা থেকে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা সামনে চলে যায়। আশেপাশে তেমন কোন লোকজন নেই। তবে রিকশা আর প্রাইভেট গাড়ি চলছে কয়েকটা। প্রিতম ল্যাম্পপোস্টের আলোতে ফুটপাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে। ধুমপান বা নেশাজাতীয় জিনিস যে আমাদের ক্ষতি করে তা জানে বলেই প্রিতমের হাতে কোন সিগারেট নেই। রাতের শহরটা খুব ঠান্ডা আর আরামদায়ক হয়। মন আর মাথা দুটোকেই চাঙ্গা করে দেয় এই পরিবেশ। কোন মাদকের সাহায্য লাগে না। প্রিতম একটা ছোট গলির সামনে দিয়ে চলে যেতেই ওর তীক্ষ্ণ কানে কেমন জানি গোংরানি আর ধস্তাধস্তির আওয়াজ ভেসে আসে। প্রিতম দ্রুত কৌশলে পিছনে এসে অন্ধকার গলির ভিতর ঢুকে আস্তে আস্তে সামনে এগোতে থাকে। যতই সামনে যাচ্ছে শব্দগুলো খুব স্পষ্ট মনে হচ্ছে৷ প্রিতম গলির মাঝামাঝি আসতেই দেখে একটা অসমাপ্ত বাড়ির নিচে আলো জ্বলছে। চারদিকে কেউ নেই। প্রিতম আর একমূহুর্ত সময় নষ্ট না করে সেই আলো আর সেখান থেকে আসা শব্দের কাছে ছুটে যায়।

প্রিতম সেখানে গিয়ে যা দেখে তা দেখার জন্য ও প্রস্তুত ছিল বলে মনে হয় না। প্রিতম দেখে তিনটা লোক একটা মেয়েকে ধর্ষন করার জন্য ধরে রেখেছে। একজন মেয়েটার হাত আর একজন মেয়েটার পা ধরে রেখেছে। মেয়েটার জামার কিছু অংশ ছিড়েছে। আর বাকি একজন পশুর মতো ঝাপিয়ে পড়ার জন্য তার নিজের জামা কাপড় খুলছে। মেয়েটার মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। কিন্তু সে যে কি আর্তনাদ করছে তা প্রিতমের বুকে আর কানে স্পষ্ট এসে লাগছে। ঠিক যখনই পশুটা মেয়েটার উপর ঝাপিয়ে পড়বে ঠিক তখনই প্রিতম এন্ট্রি মারে। আর বলে,

প্রিতমঃ ওকে ছেড়ে দে।(গম্ভীর কণ্ঠে)

পশু তিনটা হঠাৎ কারো শব্দ শুনে ভরকে যায়। মেয়েটা প্রিতমের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে শুধু কাঁদছে। পশুগুলো প্রিতমের দিকে তাকিয়ে ওকে একা দেখে হাসি দিয়ে বলে,

ধষকঃ ও শুয়া*** তুই কে রে?? তোর কথায় আমরা ওকে ছেড়ে দিব?? আয় তুইও আয় একসাথে খাই। হাহা।

কোন কিছুতে পেট্রোল দিয়ে যদি আগুন লাগিয়ে দিলে যেভাবে ধাউধাউ করে জ্বলবে ঠিক সেভাবেই প্রিতমের ভিতরটা জ্বলে উঠে। মেয়েটার চোখের সামনে হঠাৎই তিনটা লাশ ঠাস ঠাস করে পড়ে যায়। মেয়েটা দেখে প্রিতমের পিস্তল থেকে ধোঁয়া উড়ছে আর ওর চোখ লাল হয়ে আছে। তিনটা পশুর মৃত শরীরগুলো আবার নড়ে উঠলো। কারণ প্রিতম রাগে আর কষ্টে ওর পিস্তলের পুরো ম্যাগাজিনটা এই তিনটা পশুর উপর শেষ করে। মেয়েটা শুধু স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। ওর সামনে তিনটা গুলিতে ঝাঝড়া হওয়া রক্তাক্ত লাশ আর একজন পিস্তল হাতে বীর দাঁড়িয়ে আছে।

প্রিতম পিস্তলটা পিছনে ভরে মেয়েটার কাছে এগিয়ে যায়। মেয়েটা অনেক ভয় আর লজ্জা পাচ্ছে। নিজেকে হাত দিয়ে শরীর ঢাকার চেষ্টা করছে। প্রিতম মেয়েটার কাছে গিয়ে ওর গায়ে থাকা টি-শার্টটা দ্রুত খুলে মেয়েটাকে দেয়। মেয়েটা দ্রুত তা পরে নেয়।

মেয়েটা থরথর করে কাঁপছে। হাত পায়ে কোন শক্তি পাচ্ছে না। মেয়েটা জামাটা পরেই ঠাস করে বসে পড়ে। দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিটা পর্যন্ত মেয়েটা হারিয়ে ফেলেছে। মেয়েটা মাটিতে বসে কেঁদে দেয়। প্রিতমের খুব খারাপ লাগছে।

প্রিতম মেয়েটার কাছে গিয়ে বসে বলে,

প্রিতমঃ প্লিজ আপনি আর ভয় পাবেন না। ওরা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারেনি। এই পশুগুলোর প্রাপ্য শাস্তি আমি ওদের দিয়েছি। আপনি শান্ত হন।

মেয়েটা করুন ভাবে অশ্রুসিক্ত চোখে প্রিতমের দিকে তাকায়। প্রিতম যেন থমকে যায় মেয়েটাকে দেখে। মেয়েটা প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। চোখ মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে। প্রিতমের খুব রাগ আর কষ্ট হচ্ছে। তাও নিজেকে সামলে বলে,

প্রিতমঃ আপনাকে বাসায় দিয়ে আসি চলুন। আর ভয় পাবেন না। আমি থাকতে আপনাকে আর কেউ স্পর্শও করতে পারবে না।

মেয়েটা মাথা নিচু করে মাথা নাড়িয়ে না বলে। প্রিতম আবার বলে,

প্রিতমঃ আপনি বাসায় যাবেন না??

মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে না বলে।

প্রিতমঃ তাহলে?? আমাকে বলুন আপনি কোথায় যাবেন??

মেয়েটা এবার কান্নাসিক্ত কণ্ঠে বলে,

মেয়েঃ আমি এখানে হোস্টেলে থাকি। আমার বাবা-মা গ্রামে। আমি এখন এভাবে হোস্টেলে কীভাবে যাবো?? সবাই আমাকে…

বলেই মেয়েটা হাউমাউ করে কেঁদে দেয়। প্রিতম মেয়েটাকে প্রশ্ন করে,

প্রিতমঃ কিন্তু আপনি এতো রাতে এখানে কি করছিলেন??

মেয়েঃ আমার হোস্টেল এই গলির দুইটা গলি পরই। আমার শরীরটা খারাপ লাগছিল তাই ফার্মেসিতে আসছিলাম। কিন্তু এই জানায়োর গুলো হঠাৎ করে এই গলি থেকে বের হয়ে আমাকে ধরে এখানে নিয়ে আসে। আপনি না আসলে ওরা আমাকে….(কেঁদে দেয়)

প্রিতমঃ প্লিজ আপনি আর কাঁদবেন না। আপনি আমার সাথে আসুন।

মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বলে,

মেয়েঃ কোথায়??

প্রিতমঃ আমার বাসায়। সেখানে আমার মা আছে। চলুন।

মেয়েঃ না। আমি কোথাও যাবো না। আমার কাউকে বিশ্বাস হচ্ছে না।

প্রিতমঃ আমি একজন স্পেশাল আর্মি। দেশের নিরাপত্তার জন্য শপথ নিয়েছি। আপনার কোন ক্ষতি আমার দ্বারা হবে না। আসুন..

মেয়েটা কি যেন ভেবে অনেক কষ্টে উঠে প্রিতমের সাথে ওর বাসায় চলে যায়। প্রিতম বাসায় বেল দিতেই ওরা মা দরজা খুলে দেয়। প্রিতমের মা মেয়েটাকে দেখে আকাশ থেকে পড়ে আর বলে,

মাঃ ও কে প্রিতম??

চলবে??

কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে