অন্যরকম ভালোবাসা পর্বঃ ০১
– আবির খান
মাঃ এই আবির ওঠতো…আর কত ঘুমাবি??ভারসিটিতে যাবিনা??
আবিরঃ মা আর একটু ঘুমাই প্লিজ…
মাঃ আরে ৯ টা বাজেতো..
আবিরঃ কিহ ৯ টা বাজে…আগে বলবা না..
এক লাফে উঠে গেলো আবির…
মাঃ সেই কখন থেকে তোকে ডাকছি.. তোরতো খবরই নাই উঠার…
আবিরঃ আরে মা তুমিতো জানোই আমি রাত করে ঘুমাই..কত কাজ করতে হয় ভারসিটির..
আবির তারাতাড়ি ফ্রেশ হতে চলে গেলো..
মাঃ আমি গেলাম…তুই নাস্তার টেবিলে এসে পরিস…
আবিরঃ ফ্রেশ হতে হতে…আচ্ছা….
ফ্রেশ হয়ে আবির তারাতাড়ি ভারসিটির জন্য রেডি হয়ে নিলো..কারণ আজকে তাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা এসাইনমেন্ট সাবমিট করতে হবে..সারা রাত বসে কমপ্লিট করেছে..দেরি হলে সমস্যা…
আবিরঃ মা আজকে নাস্তাটা আর করতে পারবো না অনেক লেট হয়ে গেসে…আর দুষ্টটা কই??
মাঃ ওতো কবেই গাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছে…
আবিরঃ আচ্ছা..আমিও যাই তাহলে..
মাঃ আরে একটু খেয়ে যা..
আবিরঃ না মা..আমি যাই..উম্মাহ..
মাঃ আচ্ছা সাবধানে যাস…পাগল একটা…
এই হলো আমাদের আবির…অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে..আবিরের বাবা নেই..অনেক আগেই একটা জটিল রোগে মারা গিয়েছেন..তবে আবিরের বাবা আবিরের জন্য অঢেল টাকা আর সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন…আবিরের বাবার ব্যবসা বর্তমানে তার মাই দেখছেন..তাই ওর মা, বোন আর আবিরের তেমন কোন সমস্যা হয় না….হ্যা আবিরের একটা দুষ্ট বোনও আছে..এবার অনার্স এ ভর্তি হয়েছে নতুন…আবিরের ভারসিটিতেই..
আবির তার ডার্ক রেড কালারের কাওয়াসাকি স্পোর্টস বাইকটা নিয়ে ভারসিটির জন্য রওনা দিলো..রাস্তায় জ্যামের জন্য অনেক লেট হয়ে গেসে.. তাই তারাতাড়ি বাইক পার্ক করে যেই ভারসিটিতে ঢুকতে যাবে ওমনি একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলো..আর আবিরের ফাইল গুলো নিচে পরে গেলো..আবির ফাইল গুলো তুলছে…
মেয়েঃ আপনি কি কানা নাকি??ওরে মারে…মনে হয় ওয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম…উফফ…
আবির তার ফাইল গুলো তুলে মেয়েটার দিকে না তাকিয়েই উঠে চলে যেতে শুরু করে…
মেয়েটা দাড়িয়ে ভাবছে..যাবাবাহ..একটা সরি না বলেই চলে যাচ্ছে..এত্তো দেমাগ…দাড়াও বেটা দেখাচ্ছি মজা…
মেয়েঃ এই যে কই যাচ্ছেন দাড়ান বলছি দাড়ান… আবিরের পিছন থেকে জোরে বলে উঠলো..আর আবির সাথে সাথে….
চলবে…. ?