#What_a_হাসবেন্ড
#Tamanna_Tabassum(লেখনীতে)
#পর্ব-৩১(শেষ পর্ব)
হৃদয় মুনের চিৎকার শুনে দৌড়ে আসলো, ওর পিছু পিছু একে একে সবাই।। মুনের এই অবস্থা দেখে হৃদয় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। বাবা হৃদয়ের কাধে হাত রেখে বললেন, ‘ ওকে নিয়ে তারাতাড়ি হাসপাতালে যাও হৃদু, ভে’ঙ্গে পড়ার সময় এটা না ‘
হৃদয় তারাতাড়ি করে মুনকে কোলে নিয়ে বের হয়ে গেলো। হৃদি আর বাবা হৃদয়ের পিছু পিছু বের হয়ে গেলো। হৃদয়ের মা মুনের মা-বাবা কে ফোন করে সবকিছু বললেন। মুনের মা ইতিমধ্যে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে মুনের বাবা তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। মা কাদতে কাদতে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন, বাবাও পিছু পিছু বের হলো।
ওটির দরজার সামনে হৃদয় হাত পা ছড়িয়ে বসে আছে, ওর পাশে হৃদি দাঁড়িয়ে মুখ চেপে কান্না করছে। মুনের মা বিলাপ করে কান্না করছে, বাবা অস্থির হয়ে পায়চারি করছেন।
হঠাৎ বাচ্চাদের কান্নার শব্দ শোনা গেলো। হৃদয় বড়বড় চোখ করে হৃদির দিকে তাকালো। হৃদি উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো। হৃদয় লাফ দিয়ে উঠে ওটির দরজার সামনে দাঁড়াতেই, দরজা খুলে গেলো। হৃদয় তাকিয়ে দেখলো একজন নার্স হাতে পোটলার মতো কিছু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো ও। নার্স হৃদয়ের কোলে বাচ্চাটাকে দিয়ে চলে গেলো৷ হৃদয় বাচ্চাটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। হৃদি এসে বলল, ‘ ভাইয়া আমি ফুপি হয়ে গেছি, নিজেকে অনেক বড় বড় লাগতেছে। ইসস! কী পিচ্চি হয়েছে। আমার কাছে দাও। ‘
বলেই কোলে নিয়ে নিলো। বাচ্চাটার দাথে বকবক করতে করতে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো। হৃদয় মুনের কাছে গিয়ে ভ্যাঁক করে কেঁদে দিলো। কান্নার শব্দ পেয়ে মুন চোখ খুলে তাকালো। হৃদয়কে এভাবে কাঁদতে দেখে মুন দাঁত কেলালো। হৃদয় মুনের দিকে তাকিয়ে দেখলো মুন বত্রিশপাটি দাঁত বের করে কেলাচ্ছে, হৃদয় রেগে দাঁড়িয়ে গেলো।
-‘ আমি সিরিয়াস ‘
-‘ আই এম সরি বাট আমার হাসি পাচ্ছে ‘
-‘ মুখ সে’লাই করে দিবো যেন আর কখনো হাসি না পায়। ‘
-‘ আরে আরেএ রে’গে যাচ্ছেন কেন? আপনি জানেন আমি কবুল বলার সময়ও হেসেছিলাম, কিন্তু জোরে হাসতে পারিনি। আম্মু চোখ গর’ম দিচ্ছিলো। সিরিয়াস টাইমে আমার অনেক হাসি পায়। আর আজকে তো অনেক হাসি পাচ্ছে ‘
-‘ হাসি বন্ধ করো, এক্ষুনি। থামো! বেয়া’দপ মেয়ে, তুমি এতো বেয়া’দপ কেন? একটু ল’জ্জাও নাই ‘
-‘ আমার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলবেন, আমি এখন ছেলের মা বুঝলেন? আমার অনেক সম্মা’ন আছে 🥱’
-‘ তুমি কী একটু সিরিয়াস হতে পারো না মুন? টেন’শনে আমি ম’রেই যেতাম। আমি কান্না করতেছি আর তুমি কীনা হাসতেছো, আমার ফিলিংসের কী কোনো দাম নাই তোমার কাছে? ‘
-‘ আছে 😐 তো। আয় ভাই বুকে আয়, মন ভরে কান্দি আয় আয় ‘
-‘ ভদ্রভাবে কথা বলো, এইসব তুই তুকারি করবে না বলে দিলাম। ‘
-‘ আবেগের বশে তুই এসে পড়ে, এটা ভালোবাসা ‘
হঠাৎ করে হৃদি আসলো। মুনকে হাসতে দেখে বলল, ‘ ভাবি দেখো, তোমার ছেলেটা কত পিচ্চি ‘
-‘ কই? আমার কাছে দাও দেখি ‘
হৃদি মুনের কোলে দিয়ে চলে গেলো। মুন ছেলের কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিয়ে বলল, ‘ একা একা কীভাবে খেলবে বাবা? তোমার ভাইবোন চাই তাই না? একবছর পর একটা বোন হলে কেমন হয় হুম? ‘
হৃদয় বড়বড় চোখ করে মুনের দিকে তাকালো। মুন হেসে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো বাবা মা দাঁড়িয়ে আছে। ওনারা এসে চলে যাচ্ছিলো তখনই মুন ডাক দিলো, ‘ আব্বু দেখো সেদিন তো ফোন কে’টে দিয়েছিলা তাই আর কিছু বলতে পারিনি, এই দেখো তোমার নাতি হয়েছে , ওওও আম্মু এই দেখো তোমার নাতি, আসো আসো কোলে নাও ‘
মুনের বাবা কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন, এরপর মুখে হাত দিয়ে চলে গেলেন। মুনের মা মুনকে বক’তে বক’তে চলে গেলেন।
-‘ দেখেছেন? আব্বু কত ল’জ্জা পায়। কত ভদ্র ‘
-‘ আর তুমি? একেবারে নির্ল জ্জ! ‘
-‘ আমাকে সম্মান দিন ‘
-‘ কচুরিপানা দিবো ‘
-‘ আমার সাধের একমাত্র ছেলেটা আমার কাছে আবদার করেছে বুঝলেন? ‘
-‘ কী আবদার? ‘ ( চিন্তিত হয়ে)
-‘ ওর সামনের বছরই নাকি একটা বোন লাগবে। বোনকে ছাড়া নাকি ওদের এক মুহুর্তও চলবে না। টুইনস হলেও সমস্যা নেই বলেছে ‘
-‘ পাগল হয়ে গেছো তুমি, পাব’নাতে ভর্তি না করলে হবেই না দেখছি ‘
.
মুন দাঁত কেলিয়ে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। হৃদয় ভ্রু কুঁচকে মুনের দিকে কিছুক্ষণ তাকলো, এরপর দোলনার কাছে গিয়ে বলল, ‘ দেখ বাপ দেখ তোর মাকে ভূ’তে ধরেছে, জ্বী’নে ভ’র করেছে চল আমরা এখান থেকে চলে যাই। ‘
-‘ হ্যাঁ হ্যাঁ দেখ বাপ তোর বাবা তোর মাকে একা ফেলে চলে যাচ্ছে ‘
-‘ যেতে তো হবেই আর একা ফেলে কোথায় যাচ্ছি? পাব’নার ২৪ নাম্বার সীটটা বুকিং করতে যাচ্ছি। পাগ’লদের আসল ঠিকানায় রেখে আসবো। সেখানে অনেক সঙ্গী পাবে। তখন মন ভরে দাঁত কেলাবে। সকাল, সন্ধ্যা, রাতে, দুপুরে খালি দাঁত কেলাবে। ‘
-‘ আমার ছেলেকে আমার কাছে দিয়ে ভাগেন, যান ‘
-‘ ছেলেটা আমার ‘
-‘ জ্বী না, ছেলেটা আমার ‘
-‘ তুমি বললেই হবে নাকি? এটা আমার ছেলে। এই যে ওর মধ্যে কেমন যেন একটা আমি আমি ভাব আছে। ‘
-‘ কে বলছে? ওর চেহারায়, নাকে মুখে শয়নেস্বপনে শুধু আমি আমি লাগে। মুন মুন একটা ভাব আছে। দেখেন, ভালো করে দেখন। আপনার চশমাটা পড়ে নিন দেখতে সুবিধা হবে ☺️’
-‘ শা’ট আপ। আমার ছেলেটা সামনে আছে দেখে কিছু বলতেছি না, নাইলে হৃদয় কী বুঝে যেতা ‘
-‘ আহা গোওও, ওলে লে লে বাবু টা ‘
-‘ নিজের বাচ্চার সামনে আমাকে বাবু বলছো ল’জ্জা করে না? ‘
-‘ আপনার ল’জ্জা করে না? বাবুর সামনে আমাকে থ্রে’ড দিতে? ‘
-‘ না করে না। ‘
কথাটা বলেই হৃদয় পেছন দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। মুন চিৎকার করে বলল, ‘ এই এই কই যান আপনি? ‘
-‘ বাড়ি যাই, তুমি থাকো ‘
-‘ আর এক পা এগোবেন না বলে দিলাম ‘
-‘ এই যে এক পা দু পা গেলাম। কী করবে? ‘
-‘ শ্বাশুড়ি কে ডেকে পা দুটো ভে’ঙ্গে দিবো ‘
-‘ দেখেছিস বাপ? তোর দাদু আর মা মিলে আমার পা ভেঙ্গে দিবে, সা’হস কত দেখেছিস? চল আমরা দুজন বনবাসে যাই ‘
-‘ আমার ছেলেকে রেখে যেখানে খুশি সেখানে যান, সমস্যা নাই। শুধু সামনের বছর এসে আমার মেয়েকে দেখে যাইয়েন ‘
-‘ তোমার আসলেই ল জ্জা নাই। ‘
-‘ জামাইয়ের সামনে কীসের ল জ্জা? ‘
-‘ প্রথম প্রথম ল জ্জা পেতে ‘
-‘ এখন পাই না। পুরান হয়ে গেছি তো ‘
______________________
৮ বছর পর,,,,,,,,,
হৃদয় মাইশাকে কোলে নিয়ে ‘ আয় চাঁদ মামা ‘ গান শোনাচ্ছে মাইশা ঘুম ঘুম চোখে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তখনই কোথা থেকে যেন হামজা দৌড়ে আসলো।
-‘ আব্বু মাইশা ঘুমিয়েছে? ‘
-‘ এইতো ঘুমিয়ে যাবে ‘
-‘ আম্মু তোমাকে ডেকেছে ‘
-‘ কেন? ‘
-‘ হেরা কান্না করতেছে, আমরা কেউই থামাতে পারতেছি না। ওদিকে হায়ান আটা ফেলে রান্নাঘর আটাময় করে ফেলেছে। ওর দাদুর মতো বুড়ো হতে ইচ্ছা করতেছে, চুল আটা দিয়ে সাদা করে ফেলেছে সাথে নিজেও সাদা হয়ে গেছে। হেরা আম্মু সাথে ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে এখন ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না করছে। ‘
-‘ হানি কোথায়? ‘
-‘ মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমরা হেরা, হায়ান কে থামাতে পারছি না। ‘
-‘ আমি মাইশাকে শুইয়ে আসতেছি তুমি গিয়ে হেরাকে সামলাও ‘
-‘ আব্বু ‘
-‘ কী? ‘
-‘ আমি হেরা কে সামলাচ্ছি, তুমি মাইশাকে, তাহলে হায়ানকে কে থামাবে? আর হানি? হানি তো পাগ’ল হয়ে গেছে ‘
হৃদয় মাইশাকে শুইয়ে দিয়ে হামজার সাথে ডাইনিং রুমে আসলো। এসে দেখলো হেরা নাকের পানি চোখের পানি এক করে ফেলছে। হেরাকে কোলে নিতেই ও চুপ হয়ে গেলো, বিড়ালছানার মতো হৃদয়ের গলা জড়িয়ে খিলখিল করে হাসছে। রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো হায়ান সাদা ভূ’ত হয়ে বসে আছে। হৃদয়কে দেখে আটা রেখে দিলো।
-‘ আব্বু দেখো আমাকে দাদুর মতো লাগছে না? সাদা চুল, সাদা মুখ এখন শাড়ি পড়লেই দাদু হয়ে যাবো ‘
হামজা পেছন থেকে বলে উঠলো, ‘ তুই তো আমার দাদুই হোস আবার ভূ’ত কেন হলি? ‘
-‘ অপ’মান করবি না। সম্মান দে আমাকে। দেখ এই আমাকে দাদু দাদু লাগছে, হি হি হি ‘
-‘ শা’চ্চুন্নির মতো লাগছে। মনে হচ্ছে আটার দৈ’ত্য জীবিত হয়ে গেছে। ‘
হৃদয় ওদের ঝগড়া দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। রান্নাঘর থেকে বের হয়ে দেখলো হানি আর মুন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে।
-‘ তোমার মেয়ে একদম তোমার মতো হয়েছে ‘
-‘ এহহহ! ছেলেটা তো পুরো তোমার মতো হয়েছে কথায় কথায় অপ’মান করে ‘
-‘ উচিত কথা বললেই তোমাদের গায়ে লাগে। ‘
-‘ হ্যাঁ হ্যাঁ, তাই তো। ‘
-‘ হুহ ‘
মুন আর হৃদয়কে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে হানি বলল, ‘ আব্বু আম্মু তোমরা সারাদিন এতো ঝগড়া কেন করো? ‘
-‘ তোর বাপ করে, যা তারে বল ‘
-‘ জ্বী না তোর মা করে। মাত্রই তো দেখলি। ‘
-‘ জ্বী না বাপ ‘
-‘ জ্বী না মা ‘
-‘ উফফফ আব্বু! আম্মু! থামো তোমরা। ‘ ( কানে হাত দিয়ে)
হামজা রান্নাঘর থেকে বের হয়ে দেখলো হৃদয় মুনকে চোখ দিয়ে গি’লে খাচ্ছে, আর মুন হৃদয়কে গি’লে খাচ্ছে সাথে মাঝেমধ্যে আবার ঘু’ষিও দিচ্ছে। হামজাকে দেখে হানি দৌড়ে গেলো।
-‘ ভাইয়া দেখো, আম্মু আব্বু শুধু ঝগড়া করে ‘
-‘ চলো আমরা ফুপির কাছে গিয়ে বলি ‘
-‘ চলো ‘
কিছুক্ষণ পর হৃদিকে কোথা থেকে যেন ধরে নিয়ে আসলো। হৃদি এসে হৃদয়কে বলল, ‘ ভাইয়া তোমরা এতো ঝগড়া কেন করো? ‘
-‘ আমি করি? যে করে তাকে বল’
মুন হাতে তালি দিতে দিতে বলল, ‘ ওও আমি করি? আমি শুধু শুধু মানুষ খো’চাই? সত্যি টা শিকা’র করতে বলো ওনাকে ‘
‘ আমি কী শি’কার করবো? আমার ছেলেমেয়ে গুলোকে একটু দেখে রাখতে পারে না, আমার কাছে তো ঠিকই থাকে। ‘
-‘ ওহো! কত থাকে। নমুনা দেখি তো ‘
-‘ ভাইয়া ভাবি চুপ করো তোমরা। দুজনই হাতে পাহে বড় হয়েছো, মাথায় বুদ্ধি কারো নেই । হামজা শোনো তুমি হায়ান কে তোমার দাদুর কাছে দিয়ে আসো, আর হানি তুমি হেরাকে নিয়ে তোমার দাদাভাইয়ের কাছে যাও। আর সবশেষ তোমরা দুজন আমার কাছে আসবে, আজ নতুন কিছু শেখাবো। আর মাইশা কোথায়? ‘
-‘ ঘুমায় ‘ ( হামজা, হানি একসাথে)
-‘ ও আচ্ছা, কাজ শেষে এসো ‘
হৃদি ওর রুমে চলে যায়। হামজা হায়ানকে ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো দাদুর কাছে। হানি হেরাকে কোলে করে নিয়ে গেলো দাদাভাইয়ের কাছে। এখন শুধু হৃদয় আর মুন দাঁড়িয়ে আছে।
-‘ মাথাটা কেমন যেন ব্যাথা করতেছে একটা কাপ চা দাও ‘
-‘ পারবো না। শরীর খা’রাপ করলে নাপা খান ‘
-‘ চা খেতে চেয়েছি নাপা না ‘
-‘ আমিও নাপা খেতে বলেছি। চা না ‘
-‘ যত্তসব ‘
-‘ হু কচুরমাথা ‘
.
.
রাতেরবেলা….
মুন জানালার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে আছে হৃদয় পেছনে মূ’র্তির দাঁড়িয়ে থেকে মুনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে। আজ সারাদিন প্রচুর ঝগড়া করেছে। ঝগড়া করতে করতে শেষমেশ মুন কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। মে’জাজ তার প্রচুর খা’রাপ। চোখ বন্ধ করে সারাদিন কী কী করেছে ভাবছে, হঠাৎ মনে হলো কেউ তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। ভ’য় পেয়ে পেছনে তাকালো। হৃদয়কে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। আবারও বাহিরে তাকালো। হঠাৎ করেই হৃদয় ওকে কোলে তুলে নিলো। মুন বড়বড় চোখ করে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। হৃদয় হ’তাশ হয়ে বলল, ‘ আলু বউ তুমি দিন দিন ভারি থেকে ভারি হয়ে যাচ্ছো, আমার পক্ষে তোমাকে সামলানো খুনই টাফ ‘
-‘ কোলে কে নিতে বলছে হু? নামান আমাকে ‘
-‘ বউ রা’গ করলে কোলে নিতে হয়। আর সেই রাগ যদি রাত পর্যন্ত থাকে তাহলে কোলে নেওয়া থেকে আরও বেশি কিছু করতে হয়, এখন তুমি বলো তোমার রাগ কোন লেভেলের?’
-‘ আপনার মাথার লেভেলের, নামান আমাকে ‘
-‘ না ‘
-‘ আমি আপনাকে……………
মুন হৃদয়কে আচ্ছা মতো ব’কে যাচ্ছে আর হৃদয় মনোযোগ দিয়ে শুনছে আর চিন্তা করছে এই আলু বউকে নিয়েই তার সারাটা জীবন কা’টিয়ে দিতে হবে। ভবিষ্যতে আরও কত ব’কা খাবে, ঝগড়া করবে এরপর মাত্রা’তিরিক্ত হলে বউ রাগ করে বসে থাকবে আর সে কোলে তুলে নিবে। সে এখন থেকে নতুন নতুন টেকনিক অবলম্বন করবে বউয়ের রা’গ ভাঙ্গানোর জন্য। সারাদিন ঝগড়া’ঝাটির পর দিনশেষ এক হতেই হবে, এটা প্রথম রুলস!
সমাপ্ত।