psycho_is_back season_2last_part❤

0
3555

psycho_is_back
season_2last_part❤
#apis_indica

এসো, এসো আমার আরো কাছে,
ভিজাও তোমার বর্ষায়
রাঙ্গাও তোমার রোদে
হারাতে দাও তোমার চুলে।
ডুবতে দাও তোমার চোখ
আর একটু, ভালবাসা দাও…!
(ছন্দটি লিখেছে তানভীর)

ছাদের মাঝে দুজন দিকে শুয়ে আছে ইউসুফের মাথা কুহুর কাঁধে, কুহুর মাথা ইউসুফের কাঁধে।শুয়ে শুয়ে পূর্ণিমার এই বড় আলো কিত চাঁদটি দেখে যাচ্ছে তারা। তার সাথে তাল মিলিয়ে ছন্দ বানিয়ে বলছে ইউসুফ।কুহু চুপ করে শুয়ে শুনচ্ছে।কি যে ভাল লাগচ্ছে তার।মাঝে মাঝে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে সে।আজ আবার তাদের বিয়ে হয়েছে। ধুমধাম করে। পুরো ময়মনসিংহের মানুষকে দাওয়াত করে খাইয়েছে তারা।বারিশের দাদুকে নিয়ে এসেছে তারা।দাদু এখন শয্যাশায়ী।টিনার সাথে রিয়ানের বিয়ে হয়ে গেছে।বারিশের সব রিয়ানের নামে করে দিছে ইউসুফ। আশিককে জেলে দেয়া হয়েছে। রাহুল তার ওয়াইফ কে নিয়ে আমেরিকা চলে গেছে। মুনতানিছা মা হয়েছে। তার ফুট ফুটে ছেলে, মেয়ে হয়েছে।নাম দিয়েছে, ফারিন, আর ফারহান। তারা খুব খুশি। কুহুর মামীকে তাদের সাথতে রেখেছে। রাহুল নিতে চাইছিল কিন্তু দেয় নি। সব মিলিয়ে শান্তি নেমে এসেছে এই দুজনের জীবনে।

দুজনের মধ্য বেশ কিছুক্ষণ নিরবতা চলছে। নিরবতা ভেঙ্গে ইউসুফ বলল,

—–কুহু দেখ চাঁদটা কি সুন্দর তাই না!

কুহু অস্পষ্ট শব্দে বলে,

—–হুম।

ইউসুফ আবার বলে,

—–তোর সাথে অনেক অন্যয় করেছি মাফ করেছিস তো?

কুহু সেই একি ভাবে বলল,

—-হুম।

ইউসুফ বুঝলো কুহু অন্য কুছি নিয়ে ভাবনায় মগ্ন।
সে হালকা উঠে কুহুর মুখের দিক ঝুকে বলে উঠে,

—–কুহু! আই নিড ইউ…! কেন আই?

কুহু সেই একি ভাবে বলল,,

—-হুম।।

ইউসুফ এবার হেসে দিল।হাসার শব্দে ধেয়ান ভাঙ্গে কুহুর। পরক্ষনেই মনে পরে কি বলল, ভেবে সাথে সাথে উঠে বসে জিব কাটে। ইউসুফও উঠে বসে এবার ঘোর লাগা কন্ঠে বলে,,

—-আমি সিরিয়াস!

কুহু লজ্জায় মাথা নামিয়ে নেয়। ইউসুফ এবার গা ঘেসে বসে কুহুর।কুহু কেঁপে উঠে। ইউসুফ এবার কুহুর দু হাত তার হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,,

—–ভালই হয়েছে আগে কিছু করতে দাও নি..! এখন সব ডাবল হবে।

কুহুর যেন লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে। এই লোকটা আজ তাকে কত লজ্জা দিচ্ছে..! কিন্তু আজ লজ্জা পেতেও ভাল লাগচ্ছে। এই লজ্জায় আজ সে মরতেও যে রাজি।ইউসুফ এবার কুহুর ধরে রাখা হাতে হালকা চাপ দিল।আর বলল,,

—–আজও কি দূরে শরিয়ে রাখবে?

কুহু চুপ করে মাথা নত করে রাখলো। ইউসুফ বুঝলো নাহ্ লাভ নেই। সে আজও তার কুহুতে আপন করে পাবে না। কষ্ট লাগলো ইউসুফের। খুব কষ্ট। কুহু তেন বুঝে না তাকে? সেই ছোট থেকেই কতটা কন্ট্রোল করেছে শুধু সে জানে।ইউসুফ ছোট শ্বাস নিয়ে বলল,

—-ওকে। বলে উঠে যেতে নিল।

কুহুর জানি কি হলো, সে টান মেরে ইউসুফের বুকে লেপ্টে গেল। ইউসুফ তার উত্তর পেয়ে গেল।সে হেসে কুহুর ঘারে চুমু খেল। তারপর কোলে তুলে হাটা ধরলো তাদের ঘরের দিক।কুহু ইউসুফের গলায় দু হাত ভাল করে বেদ্ধে বুকে মাথা ঠেকিয় চেয়ে রইলো ইউসুফের দিক। লোকটি কত সুন্দর। ২ চেহারেয় যেন মানায় তাকে। নাহ্। আগের চেহেরা বেশী সুন্দর ছিল। যাই হোক মানুষ তো তারি আছে। ভেবে আনমনে হাসলো। কুহুর হাসি দেখে ভ্রু কুচকে তাকালো ইউসুফ। কুহু ইউসুফকে অবাক করে দিয়ে গালে চুমু খেল। ইউসুফ হা হয়ে গেল। থমকে গেল কদম। কুহু যেন আরো লজ্জা পেল। সাথে সাথে মুখ লুকিয়ে ফললো ইউসুফের বুকে।
ইউসুফ মুচকি হেসে বলল,,

—–আজ তো আমাকে পাগল করে দিচ্ছো তুমি। আজ সত্যি ছাড়াছাড়ি নাই।

বলে বড় বড় পায়ে হাটা ধরলো।কুহু আবার সেই লজ্জা জেকে বসলো।

ইউসুফ রুমে ঢুকে কুহুকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিল।তারপর আলতো করে ঠোঁটে ঠোঁট ছুয়ালো। কুহু চোখ বন্ধ করে আছে। মনের মাঝে রংবেরঙের প্রজাপতি উড়ছে। ইউসুফ এবার কুহুর গহনা খুলতে ব্যস্ত। প্রথমে ডান কানের কানের দুল খুলল। এবং সেখানে ঠোঁট ছোয়ালো। কুহু চোখ বন্ধ করে কেঁপে উঠলো। যা ইউসুফ আয়নায় দেখছে। তার পর বাম কানে দিল। কুহু আবার কেঁপে উঠলো। ইউসুফ মুচকি আসলো।তারপর হাত দিয়ে গলায় স্লাইড করে গলার গহনা খুলে দিল। কুহু এবার তার লেহেঙ্গার কাপর মুঠ করে ধরলো।ইউসুফ আবার কোলে তুলে নিল কুহুকে। এবং বেডে বসালো। তারপর পিঠের দিক কুহুর ব্লাউজের ফিতা খুললো। সেখানে চুমু দিল।কুহু শক্ত হয়ে চাঁদরে হাত দিয়ে বসে রইল। ধীরে ধীরে কুহুর পায়ের কাছে নেমে এলো পকেট থেকে দুটো নুপু বের করে পরিয়ে দিল। এবং দু পায়ে চুমু খেল। কুহু আর নিতে পারলো না সটান করে শুয়ে পরলো সে। এ কেমন অনুভতির সাথে পরিচয় করাচ্ছে তাকে ইউসুফ। এই অনুভতি গুলো যে মেরে দিবে তাকে। একে বারে মেরে দিবে।

ইউসুফ এবার নিজের পাঞ্জাবি খুলে ফেলল। কুহু তাকিয়ে আছে ইউসুফের বুকে সে লুকিয়ে কত দেখেছে এই বুকটা। ইউসুফ কুহুর লেহেঙ্গা পা পর্যন্ত উঠালো। কুহুর সেই পায়ের তিলে গাড় চুমু দিলো। কুহুর যেন দম আটকে আসচ্ছে মরেই যাবে সে আজ।

ইউসুফ এবার উঠে এসে কুহুর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবালো। গভীর চুম্বুনে লিপ্ত হলো। এবার কুহুও সাথ দিল তার।ইউসুফ ঠোঁট ছেড়ে নেমে এলো গলায়।প্রথমে ঠোট দিয়ে চুমু দিল। তারপর জিব্বা দিয়ে আদর করতে লাগলো।কুহু যেন শ্বাস নিতে ভুল যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ইউসুফ নেমে এল বুকে। তার পেটে। পেটের দিকে কুহু একটি লাল তীল। ইুসুফের লোভ বাড়লো কামোর বসালো তাতে। এতে কুহু মুখ থেকে অাহ্ শব্দ বের হয়ে আসলো। ইউসুফ তখন মাথা তুলে কুহুর দিক দাঁত কেলিয়ে বলল,,

—–নতুন বউয়ের শরীরে লাভ বাইট না হলে কেমন দেখায় না তাই দিলাম।

কুহু বিস্ময়ের সাথে তাকিয়ে রইলো। লোকটি হাসলেই পাগল। কুহু সবাইকে লাভ বািট দেখিয়ে ঘুরবে নাকি।

ইউসুফ আবার তার কাজে মন দিল। পেটে কিস করতে আবার উপরে উঠে কুহুকে চুমু দিল। তারপর জড়িয়ে ধরে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর আবার মেতে উঠলো আদিম খেলায়। দুজনে তলিয়ে গেল। ভালবাসার গহীন অতলে…!

এটাই যেন তাদের নতুন জীবনের শুরু। সকল বাঁধা বিপত্তি এক পার করে আজ কুহু তার সাইকো কে পেয়ে গেল। আর ইউসুফ তার বাবুইপাখিকে…!

❤ সমাপ্ত ❤

(আপাদের কথা রাখলাম ওদের মিল করে দিলাম।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর কুহু ইউসুফের জন্য দোয়া করিয়েন। ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে স্টোরিটা পড়ার জন্য ?)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে