Devil_Teacher Part-05 | Bangla romantic love story

0
5550

??Devil_Teacher??

??রং তুলি ??

part – 5

শান্ত : any problem?
তুলি : স্যার আমার result ( F ) আসলো কিভাবে?
শান্ত : আমার থেকে private tutor নিতে পারো ভালো result করবে ( চেয়ার থেকে উঠে) তুলি : আমার কোন tutor এর প্রয়োজন নাই, আপনি ইচ্ছে করে আমার result এর বারোটা বাজিয়েছেন ( রেগে গিয়ে)
শান্ত : তুমি কি আমাকে ধমকাচ্ছো? ( তুলির দিকে এগিয়ে এসে)
তুলি : না মানে,, আমাকে আমার প্রাপ্য নম্বর দেন ( মাথা নিচু করে)
শান্ত : বললাম তো আমার থেকে private tutor নিলে result ভালো আসবে, তুমি চাইলে আমি তোমার বাসায় গিয়ে পড়াবো ( তুলির কানের কাছে আস্তে করে বললো)
তুলি : স্যার আপনার বাসার ঠিকানা বলেন ( কিছু একটা ভেবে)
শান্ত : আমার বাসায় গিয়ে পড়বে নাকি?
তুলি : কেন স্যার সমস্যা হবে আপনার বাসায় গিয়ে পড়লে? ( ভ্রু কুচকে)
শান্ত : না, কিন্তু তুমি sure বাসায় গিয়ে পড়বে!
তুলি : জ্বি স্যার 100%
শান্ত : ok

— শান্ত বিকালে ঘুমিয়ে ছিলো, কিছু একটা চেঁচামেচির শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রুম থেকে বেরিয়ে দেখে বাসার সামনে ভার্সিটির students সব দাড়িয়ে আছে,,,
শান্ত : তোমরা সবাই আমার বাসার সামনে কি করছো? ( অবাক হয়ে)
রেশমা : স্যার private এসেছি
শান্ত : কি ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে )
তুলি : জ্বি স্যার আপনি তো বলছেন private পড়াবেন।
— শান্তর বুঝতে বাকি রইলনা তুলি এতো সহজে private এর জন্য কেন রাজি হয়েছে, এটা তার একটা plan ছিলো। শান্ত পরিবেশ সামলানোর জন্য বলল,,,
শান্ত : তোমাদের সবাইকে এক সাথে পড়ানো আমার পক্ষে সম্ভব না। আর আমার কাছে এতো সময় নেই যে তোমাদের private পড়াবো।
রেশমা : তাহলে স্যার private পড়াবেন না? ( মন খারাপ করে)
শান্ত : তোমরা কষ্ট করে এসেছো তার জন্য sorry.. আমার কিছু parsonal problem আছে যার কারনে private পড়ানো সম্ভব না।
তুলি : স্যার আমাকেও পড়াবেন না? ( দুষ্ট হাসি দিয়ে)
শান্ত : না,,, ( শান্তর ইচ্ছে করছে কানের নিচে একটা কষে চড় মারতে পাজি মেয়ে)
তুলি : তাহলে স্যার আমরা আসি।
শান্ত : আসতে তো তোমাকে হবেই ( বিড়বিড় করে)

— শান্ত মনে মনে বলছে, কালকে ভার্সিটিতে আসো তারপর দেখো তোমার কি অবস্থা করি। তুলি তৈরি হয়ে ভার্সিটির জন্য বের হচ্ছে, পেছন থেকে তুলির মা ডেকে বলল,,,
মা : তুলি শুন,
তুলি : কিছু বলবা মা?
মা : তন্ময় নাকি তোদের ভার্সিটিতে যাবে, ওকে নিয়ে যা।
তুলি : আমাদের ভার্সিটিতে কেন?
তন্ময় : দেখি কোন মেয়ে পটাতে পারি কিনা
তুলি : বড় বোনের সাথে ফাজলামি? ( কানে ধরে)
তন্ময় : আরে চলতো তোদের ভার্সিটিটা ঘুরে দেখবো আরকি
তুলি : আচ্ছা চল, তোকে পুরো ভার্সিটি ঘুরে দেখাবো
— শান্ত অপেক্ষা করছে তুলি কখন আসবে। তুলি তন্ময়ের বাইকে করে চলে এলো ভার্সিটিতে, দূর থেকে শান্ত দেখছে তুলি। মেয়েটার সাহস হয় কি করে তার কথা অমান্য করার? আবারো কার বাইকে উঠলো? আজ তাকে একটা শিক্ষা দিতে হবে, তুলি এখনো শান্তর সাথে দেখা করতে যায়নি, শান্ত রেগে আগুন হয়ে আছে। হঠাৎ তুলি শান্তর কথা মনে পরতে বলল,,,
তুলি : ভাই তুই থাক আমার একটা কাজ আছে।
তন্ময় : আমি আর থেকে কি করবো, ভার্সিটি তো দেখা হয়ে গেছে। আমার আবার বাসায় যেতে হবে, আমি চলে যাই।
তুলি : আচ্ছা বাই।

— তুলি শান্তর সাথে দেখা করতে রুমে যাই, শান্ত আজ কি করবে নিজেও জানেনা,,,
তুলি : স্যার আসবো?
— শান্ত তুলির দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছেনা, চোখ দুটো রাগে লাল হয়ে আছে,,,
তুলি : sorry sir disturb করার জন্য, পরে আসছি।
— তুলি বেরিয়ে যাচ্ছিলো, শান্ত তার হাত ধরে টেনে রুমের ভিতরে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়,,,
তুলি : স্যার কি করছেন? ( ভয়ে পেয়ে)
শান্ত : ছেলেটা কে ছিলো?
তুলি : স্যার আমাকে যেতে দিন। ( বলেই দরজা খুলতে যায়)
শান্ত : আমি না বলা পর্যন্ত কোথাও যাবেনা ( তুলির হাত টেনে ভিতরে নিয়ে আসে)
তুলি। : স্যার হাত ছাড়েন ( ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
শান্ত : কেন আমি কাছে আসলে তোমার problem হয়? আর অন্য ছেলেদের সাথে যখন বাইকে ঘুরো, গা ঘেষে কথা বলে তখন problem হয়না?
— শান্তর কথাগুলো তুলির গায়ে কাঁটার মতো লাগলো, তাই রেগে বলল,,,
তুলি : হয়না, আমার যা ইচ্ছা তাই করবো আপনাকে কেন বলল?
শান্ত : কি বললে তুমি?
তুলি : কে আপনি? আমার বাবা, ভাই, জামাই, কেউনা। আমাকে প্রশ্ন করার কোন অধিকার নাই আপনার।
— তুলি হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছিলো, তুলির কথা শুনে শান্তর এতটা রেগে যায় যে, তার হাত টেনে নিজের সাথে কোমড় চেপে ধরে তুলি কিছু বলার আগে ঠোটে ঠোট চেপে ধরলো। যতক্ষণ শান্ত তুলির রাগ না কমছে ততক্ষণ কিস করেই যাচ্ছে, তুলি ছাড়ানোর চেষ্টা করেও শান্তর সাথে পেরে উঠছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর শান্ত তুলিকে নিজ থেকে ছেড়ে দিয়ে বলল

শান্ত : আশা করি next time বলতে হবেনা আমি তোমার কে, এই কিসটা তোমাকে মনে করিয়ে দিবে। কি বললে তুমি, তোমার উপর আমার কোন অধিকার নেই? ৩ বছর ধরে তোমাকে পাগলের মতো খুজেছি, শুধু মাত্র তোমার জন্য এই ভার্সিটির টিচার হয়ে এসেছি। আর আমার কোন অধিকার নেই, তোমার উপর শুধু মাত্র আমার অধিকার অন্য কারো না। মনে থাকে যেন।
— কথাগুলো বলে শান্ত বেরিয়ে গেলো, তুলি নিঃশব্দে কেদে চলেছে, শান্ত এমন কিছু করবে ভাবতে পারেনি। তুলি ভার্সিটি থেকে বাসায় চলে গেলো, আর কখনো এই ভার্সিটিতে আসবে না। শান্তর রাগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ভাবতে লাগলো, তুলির সাথে এমন করা উচিত হয়নি তার। class গিয়ে দেখে তুলি আসেনি,,,
শান্ত : মিস তুলি class আসেনি কেন? ( নদীকে উদ্দেশ্য করে)
নদী : স্যার ওর ছোট ভাই সাথে এসেছিল, হয়তো ওর ভাইয়ের সাথে চলে গেছে।
শান্ত : what! ( শান্তর মাথায় যেন বাঁশ পরলো তার মানে ছেলেটা তার ছোট ভাই ছিলো )
— শান্ত class শেষ করে তুলিকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু ফোন বন্ধ, শান্ত প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছে। আজ তুলির সাথে কাজটা ঠিক করেনি, এমন আচরন করা উচিত হয়নি তার। তুলি ঘরে চুপটি মেরে বসে আছে, আজ তার মাঝে সেই চঞ্চলতা নেই। তুলির বাবা ঘরে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলল,,,
বাবা : কি হয়েছে মা?
তুলি : কিছুনা বাবা, কিছু বলবে?
বাবা : বলছিলাম কি অনেকদিন হলো একটা বিয়ের সম্বন্ধ আসছে, ছেলেটা পরিচিত তুইতো চিনিস নদীর ভাই, তুই যদি হ্যা বলিস আমরা কথা বলতাম।
তুলি : আমি রাজি, তুমি কথা বলো
বাবা : তুই ভেবে বলছিস তো?
তুলি : হ্যা বাবা তুমি কালকেই তাদের আসতে বলো।
বাবা : ঠিক আছে

— তুলি মনে মনে ভাবছে, devil এর থেকে নিজেকে দূরে রাখার এর চেয়ে ভালো উপায় আর নেই। নদী তার best friend তার খারাপ চাইবেনা। পরদিন তুলিকে দেখার জন্য নদী তার পরিবার নিয়ে আসে, নদীর ভাই আসেনি। তুলিকে পছন্দ করে তারা আংটি পরিয়ে গেলো, তুলির ছেলে পছন্দ হলে বিয়ের তারিখ ঠিক করা হবে,,,

তুলি : আমার ছেলে দেখতে হবেনা, তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে। বিয়ের তারিখ আগামী সপ্তাহে fixed করে দে
নদী : তোর মাথা ঠিক আছে তো
তুলি : হ্যা ঠিক আছে, বিয়েটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়ে গেলে ভালো হবে।
নদী : কিন্তু তুই ভাইয়াকে না দেখে
তুলি : বললাম তো দেখতে হবেনা, যা বলছি তাই কর।
— আজ পাঁচদিন পর ফোন অন করেছে তানিশা, devil এর অনেক গুলো message দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যে devil এর কল এসে গেলো, এমন মনে হচ্ছে ফোন অন করার অপেক্ষায় ছিলো। তুলি ফোন রিসিভ করে খুব স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে লাগলো,,,
তুলি : hello
শান্ত : এতদিন ফোন বন্ধ ছিলো কেন? তুমি জানো আমি কত টেনশনে ছিলাম
তুলি : আপনার সব টেনশন মুক্ত করার জন্য আমার কাছে একটা good news আছে
শান্ত : কি?
তুলি : ২ দিন পর আমার বিয়ে।
শান্ত : তুমি নিজের ইচ্ছায় বিয়েটা করছো?
তুলি : হুম, especially আপনার দাওয়াত রইলো।
শান্ত : আমি না আসলে কিভাবে হবে
তুলি : মানে!
শান্ত : কিছুনা, বাই। ( শান্ত ফোন কেটে দিলো)

চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে