স্বচ্ছ প্রণয়াসক্ত পর্ব-২৪

0
1079

#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_২৪
#মুসফিরাত_জান্নাত

আষাঢ়ের আকাশ হুটহাট মেঘে ভিজে বৃষ্টি ঝরায়।আবার পরমুহুর্তেই পরিষ্কার হয়ে ঝকঝকে রোদের দেখা দেয়।বিকেল গড়িয়ে গোধুলিতে নীল অম্বর লালাভ বর্ণ ধারণ করে।আকাশের মেঘ ভেসে দূর গগনে পাড়ি জমায়।টুপটাপ বৃষ্টি বিদায় নিয়েছে অনেকটা পূর্বে।তবুও ঐশীর মনের বৃষ্টি বিদায় নেয় নি।তার হৃদয় গহীনে ঝুম বৃষ্টির ছন্দবৃত্ত ধ্বনি বেজে চলেছে।সেই সুরের তানে নেচে চলেছে মন।মাতৃত্বের স্বাদ বুঝি সে এখন থেকেই পেতে চলেছে।
তার স্বাদে মধু ঢেলে দিতে বেজে উঠলো ব্যক্তিগত স্মার্টফোনটি।গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে ফোন হাতে নিলো সে।স্ক্রিনে সাদাতের নাম দেখতেই মনটা পুলকিত হলো।আবার একটু লজ্জাও ভীর জমালো দুই গালে।এই লোকটা তার সন্তানের পিতা।রক্তিমায় ছেয়ে গেলো মুহুর্তে।মা হবার সংবাদটা সে কীভাবে দিবে সেটাই ভাবতে লাগলো।ভাবনার মাঝেই কল পিক করলো সে।আনন্দ মিশ্রিত কাঁপা কণ্ঠে সে সালাম দিলো।

“আসসালুমু আলাইকুম।”

সালামের জবাব দিলো সাদাত।

“ওলাইকুম আসসালাম।কেমন আছো তুমি?”

সাদাতের প্রশ্নে ভড়কে গেলো ঐশী।সাধারণত কেমন আছো এই প্রশ্নটা তাদের কথাবার্তায় স্থান পায় না।দ্বিধা ভরে সে জানতে চাইলো,

“হটাৎ এটা জিজ্ঞেস করলেন যে?আমার কি খারাপ থাকার কথা?”

“তা নয়।তবে আজ কলেজে আসলে না?”

স্মিত হাসে ঐশী।রগড় করে বলে,

“কেনো?মিস করেছেন?”

“বন্যপাখি ছাড়া যেখানে উদ্ভিদ জগতের বন বেমানান।মিস তো সেখানে করাই যায়।”

সাদাতের প্রত্যক্ষ স্বীকারোক্তির ধরণ দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় ঐশী।মুগ্ধতার আনাগোনা দেখা দেয় মন মসজিদে।ভালোলাগার এক নীল দরিয়ায় ভেসে যায় সে।উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে অধ্যয়নরত সে।এ কারনে যে সাদাত এভাবে বললো ব্যাপারটা ঢের বোঝে মেয়েটি।স্মিত হাস্যে মুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ করে সে।বিবশ হয়ে জিজ্ঞেস করে,

“আপনি কি আমাকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছিলেন নাকি?”

“তোমার তাই মনে হয়?”

“হুম।তাছাড়া এমন প্রত্যেক পরতে পরতে আমাকে মুগ্ধ করেন কীভাবে?”

“আমাদের বিয়ের আগেও তো আমি ছিলাম।তখনও এভাবে মুগ্ধ হতে?”

সাদাতের প্রশ্নে থতমত খায় ঐশী।সমীকরণটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করে।কিন্তু ব্যর্থ হয় সে।সত্যি তো।বিয়ের আগে সে সাদাতকে সহ্যই করতে পারতো না।অথচ এখন তার মাঝেই মুগ্ধতা খুঁজে পাচ্ছে।ব্যাপারটা ধরতেই অবাক হয় সে।প্রতিউত্তরে নিরলস কণ্ঠে বলে,

“তখন তো আপনি এভাবে আমার সাথে কথা বলেননি।মুগ্ধ হবো কেমনে?”

হালকা হাসে সাদাত।নিস্পৃহ কণ্ঠে বলে,

“মুগ্ধতা ব্যক্তি ছড়ায় না।মুগ্ধতা সম্পর্ক ছড়ায়।আমি বর্তমান সম্পর্কে তোমার স্বামী তাই এখন মুগ্ধ হচ্ছো।সম্পর্কে শুধুমাত্র স্যার হিসেবে এভাবে কথা বললে মুগ্ধ হতে না।বরং আমার চরিত্রের দোষ ধরতে।কারণ ব্যাপারটা বেমানান হতো।”

সাদাতের কথায় যুক্তি খুঁজে পায় ঐশী।আবারও মুগ্ধ হয় সে।আসলে আমাদের ধ্যান ধারণার বহির্ভূত কোনো ব্যতিক্রম বিষয় সামনে এলেই আমরা মুগ্ধ হই।সাদাতের কথাগুলোও ব্যতিক্রমধর্মী হওয়ায় তার মাঝে মুগ্ধতার রেশ খুঁজে পায় ঐশী।পরের আলাপগুলো এভাবেই চলে যায়।লজ্জা ও সংকোচের জন্য বার বার চেয়েও নিজের মনে উঁকি দেওয়া সন্তান সম্ভবার সন্দেহটা প্রকাশ করতে পারে না সে।
_____
বেলা এক প্রহর।নীলাভ অম্বরে সকালের সূর্য উঁকি দিয়েছে অনেক পূর্বে।পাখিরা খাদ্যের সন্ধানে ছুটে গিয়েছে।সকালের খাবার পর্ব চুকে নিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ।রিকশায় অথবা গাড়িতে করে অফিসে যাত্রা করছে কর্মমুখী মানবেরা।রিকশার টুংটাং শব্দে কোলাহল পূর্ন হয়েছে কলেজ গেট।সকাল নয়টার পূর্বেই এদিকটায় যাত্রী পৌঁছে দিতে ভীর জমায় রিকশাওয়ালারা।সেই রিকশার ভীরকে উপেক্ষা করে কালো রঙা গাড়িটি নিয়ে কলেজ চত্তরে প্রবেশ করে সাদাত।পার্কিং স্পটে গাড়ি পার্ক করে সিঁড়ি ডিঙিয়ে ডিপার্টমেন্টির দিকে যাত্রা করে সে।কলেজ মাঠে বসে সেদিকেই চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে রয় ঐশী।পাশে যে তার বান্ধবীরা খোশ গল্পে মশগুল হয়ে আছে সে ধ্যান তার নেই।ঐশীকে অন্যমনস্ক দেখে কথা থামিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকায় সিন্থিয়া।দৃষ্টি আকর্ষন করতে ঐশীর গায়ে একটু গুতো দিয়ে বলে,

“কি হইছে তোর?ওদিকটায় কি দেখিস?”

সম্বিৎ ফিরে ঐশীর।সবার দৃষ্টি তার দিকে পতিত দেখে অপ্রস্তুত হয় সে।আবারও সিঁড়ির দিকে তাকায় ঐশী।সাদাত ততক্ষণে উপরে উঠে গিয়েছে।হাঁফ ছাড়ে সে।যাক বাবা!এদের হাত থেকে বাঁচা গেলো।বিগত কয়েক মাস স্যারের বউ বলে বলে তার কানটা ঝালা পালা করে ফেলেছে এরা।এখন যদি দেখতো সে সাদাতের দিকে তাকিয়ে আছে, তবে লেগ পুল করে জীবনটা অতিষ্ট করে ফেলতো।লম্বা শ্বাস টেনে নিজেকে ধাতস্থ করে নেয় ঐশী।জবাবে কিছু বলতে যাবে তার আগে জেবা ফোঁড়ন কেটে বলে,

“কি আর দেখবে?জামাইয়ের চিন্তায় মাথা গেছে না? এখনো ওর জামাই আসছে কিনা এইটা দেখতেছে।”

জেবার তার ছেড়া কথাটা টেনে নেয় ঐশী।রসিকতা করে বলে,

“জামাইয়ের চিন্তায় মাথাটা আমার না তোর গেছে দোস্ত।জামাই আমার সিঁড়ি দিয়ে না গেইট দিয়ে আসবে।তার আসার অপেক্ষায় থাকলে গেইটের দিকে তাকাতাম।বুঝছোস।”

তড়িৎ জিভ কাটে জেবা।নিজের ভুল ঢাকতে বলে,

“মাথাটা যাইবো না? বিয়া তো করছিস জাঁদরেল স্যারকে।তোর জামাইকে দুলাভাই ডেকে ধান্দা করে যে কয়ডা টাকা হাতায় নিমু সে সুযোগ ও তো রাখিস নাই।মাথাটা আমার ওই টাকা না পাওয়ার কষ্টেই গেছে।”

“তোর যদি এতোই টাকার সংকট হয় রাস্তার মোড়ে একখান ভাঙা থালা নিয়া বসেক গা।তাও এতো চিন্তা করে মাথার তার ছিঁড়িস না দোস্ত।পরে বিয়া দিতে পারমুনি না।”

ব্যঙ্গাত্মক কণ্ঠে কথাটা বলে ঐশী।সিন্থিয়া স্বহাস্যে বলে,

“হ সেই হইবো।ওখানে যেয়ে খালি গীত ধরবি।একটা টাকা করবেন দান আমার আল্লাহ নবিজির নাম।তাই দেখবি টাকার পাহাড় জমে যাবে।বড়লোক মাইয়া দেখে বিয়ে করার লিজ্ঞা পোলারা ভীর জমাইবে।”

“তুই চুপ থাক।নিজের ভাইকে বাঁচানোর ধান্দায় আমাকে গীত শিখাইতে আসছু।বজ্জাত মহিলা।”

কঠোর মুখে প্রতিবাদ করে জেবা।সিন্থিয়া অসহায় কণ্ঠে বলে,

“এমন করিস কেন দোস্ত?আমি নিজেও তগো মতো ভিকটিম।বেটায় উঠতে বসতে কেলানি দেয় আমাকে।ক্লাস বাঙ্ক মা’রতেও ভয় পাই দেখিস না?”

এতোক্ষণে এদের ঝগড়া দেখে মুখ চেপে হাসছিলো তাসনিম।এখন সে ব্যাঙ্গ করে বলে,

“হাঁদারামের দল,আরও কেলানি খাইতে না চাইলে ওঠ তাত্তাড়ি।জাঁদরেল স্যারের উফ সরি এখানে তো আবার মিসেস জাঁদরেল উপস্থিত আছেন।সাদাত স্যারের ক্লাস শুরু হবে এখন।”

ঐশী চোখ রাঙানি দেয়।

“সম্মান দিয়ে কথা বলবি।ম্যাম লাগি এখন তোদের।”

“যথা আজ্ঞা ম্যাডাম।”

মাথা ঝুঁকিয়ে উপহাস করে বলে তাসনিম।হেসে ওঠে সকলে।মাঠ থেকে উঠে ক্লাস রুমের দিকে যাত্রা করে তারা।পথে জেবা বিদ্রুপের মাত্রা বাড়িয়ে মুখ বাকিয়ে বলে,

“উহ ম্যাম হইতে আসছে।স্যার আদৌ তোকে বউ মানে তো?এই বেরসিক বেটা তো জিন্দেগীতেও তোকে মানবে না।”

“হ ঠিকই বলছু বইন।এই বেরসিক বেটা আমাকে মানবে না।কিন্তু আমার পেটের সন্তানকে মানবে।”

মুখ বাকিয়ে কথাটা বলে ঐশী।মুহুর্তেই যেনো বিস্ফোরণ ঘটলো।ঐশীর কথায় থমকে দাঁড়ালো সবাই।জিভ বের করে দাঁত দিয়ে চেপে ধরে ঐশী।এমনিতেই এদের জ্বালায় বাঁচে না।আবার রাগের মাথায় কি বলে ফেললো সে।জেবা বোকাচন্ডী হয়ে বলে,

“তোরা বান্ধন ঢিল দিয়া আমাকে এতো ব্যাকডেটেড বানায় ফেলছু কবে দোস্ত?যুগ তো আপডেট হইয়া গেছে।বউ এখন মা হওয়ার পথে।আর আমি পড়ে আছি বউ মেনে নেয়ার টপিকে।”

জেবার কথায় তাসনিম বিরক্ত হয়ে বলে,

“বন্ধন ঢিল করি নাই।তোর বন্ধনের তার ছিঁড়ে গেছে।তাই ব্যাকডেটেড হয়ে গেছিস তুই।বাদ দে তোর কথা।ঐশী তুই কি সত্যি বলতেছিস?”

“আমি শিওর না দোস্ত।পিরিয়ড মিস গেছে তিন মাস হলো।”

“তোর ইরেগুলার পিরিয়ড প্রবলেম তো অনেকদিন হলোই হচ্ছে।ব্যাপারটা এমনও তো হতে পারে।”

গম্ভীর হয়ে বলে তাসনিম।ঐশী দ্বিধা ভরে বলে,

“হ্যাঁ শুরুতে পিরিয়ড গ্যাপকে ওই কাতারেই ফেলেছিলাম।কিন্তু এখনের সিম্পটম একটু অন্যরকম অনুভুত হচ্ছে।পেটে প্রায়ই পেইন হয় এখন।”

“ওসব পেইন টেইন বাদ দে।লাস্ট টাইম প্রোটেকশন নিছু নাকি তাই বল।”

মাঝখান থেকে হড়বড় করে কথাটা বলে জেবা।বিষম খায় ঐশী।সিন্থিয়া মুখ ঘুরিয়ে ফেলে গলা খাকাড়ি দেয়।আফটার অল এর সাথে তার ভাই জড়িত।তাসনিম জেবার মাথায় চাটি মেরে বলে,

“হুশ জ্ঞান কি তোর কোনো কালেও হবে না আল্লাহর বান্দী?সেই কখন থেকে ননস্টপ বেজে চলছিস।একটু তো বুঝে কথা বলবি।”

“সরি।কিন্তু আমার খুব আগ্রহ হচ্ছে খালা হবো।এই সুবাদে মিষ্টি খাবো।”

“তোর আগ্রহের মাইরে বাপ।মানুষের প্রেসটিজ পান্সার করে আগ্রহ দেখাস।”

চাপা স্বরে বলে ঐশী।প্রতিউত্তরে দাঁত কেলিয়ে জেবা বলে,

“যাই হোক না কেনো ঐশী তুই প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে চেক করে শিওর হয়ে দেখ।”

জেবার কথায় যুক্তি পায় ঐশী।মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায় সে।মনে মনে ভিষণ খুশি হয় সিন্থিয়া।যদি ঘটনাটা সত্যি হয় তবে ঐশীর তাদের বাড়ি যাওয়ার বন্দোবস্ত এখনই হবে।তাছাড়া নতুন সদস্যের আগমনও হবে বাড়িতে।

______
কলেজ শেষে ফিরতি পথে এক ফার্মেসীতে বান্ধবীদের নিয়ে প্রেগন্যান্সি কিট কিনতে যায় ঐশী।একটা কিট কিনে ব্যাগে পুরে টাকা পরিশোধ করে পিছন ফিরে তাকিয়ে সাদাতকে দাঁড়ানো দেখে অপ্রস্তুত হয়ে পরে সে।আমতা আমতা করে বলে,

“আ..আপনি এখানে?”

“হুম।আম্মুর মেডিসিন নিতে এসেছিলাম।”

“ওহ।প্রয়োজনীয় ঔষধগুলো কিনেন তাহলে।আসি।”

“এতো বড় একটা কাহিনি আমার থেকে লুকিয়ে যাচ্ছো কোথায়?”

গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করে সাদাত।থমকে দাঁড়ায় ঐশী।লজ্জায় মাথা নত করে সে।ইশ!তার কিট কেনাটা তবে সাদাত দেখে ফেলেছে।প্রতিউত্তরে নিরব রয় সে।সুক্ষ্ম চোখে মেয়েটিকে কিছু সময় দেখে যায় সাদাত।হয়তো ঐশীর সংকোচের কারণটা অনুধাবনও করে।কিছু সময় পরে নির্লিপ্ত কণ্ঠে সে বলে,

“এক্ষুনি হসপিটালে চলো আমার সাথে।”

“কেনো?”

বিষ্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে ঐশী।চমকে যায় তার বান্ধবীরাও।একে অপরের মুখের দিকে তাকায় ওরা।মনের মাঝে অজানা শংকা কাজ করে তাদের।সাদাত ধাতস্থ কণ্ঠে বলে,

“কাল সকাল পর্যন্ত ওয়েট করতে পারবো না আমি।তর সইছে না আমার।সুসংবাদটা আজকেই শিওর হয়ে নিতে চাই।”

আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ঐশীর হাত চেপে গাড়িতে নিয়ে যায় সাদাত।এই মুহুর্তে ঐশীকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে সাদাতের।বাবা হওয়ার সুখ দেওয়ার জন্য আদরে ভরিয়ে দিতে ইচ্ছে করে মেয়েটিকে।কিন্তু জনসম্মুখে তা সম্ভব নয়।তাই নিজেকে সংযত রাখে সে।স্বস্তির শ্বাস ফেলে ঐশী।সাথে আনন্দিতও হয়।সিন্থিয়া ডেকে বলে,

“আমাকেও নিয়ে চল।আমিও যাবো তোদের সাথে।ফুপি হওয়ার খবরটা নিজ কানে শুনে আসি।”

সাদাত গম্ভীর গলায় বলে,

“তোর আসার দরকার নেই।রিকশা ভাড়া করে বাড়ি চলে যা।আমার থেকে বিষয়টা লুকানোর শাস্তি এটা।”

“বারে ভালো বিচার করলি।বউ পেয়ে বোনকে ভুলে গেলি।খবিশ একটা।আমিই জানলাম আজকে।”

সিন্থিয়ার বলা কথাটা সাদাত শুনলো কিনা বোঝা গেলো না।ঘ্যাড় ঘ্যাড় আওয়াজ তুলে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো সে।ওদের দিকে স্থির নয়নে তাকিয়ে রইলো জেবা ও তাসনিম।বউয়ের প্রতি সাদাতের এমন আচরণ হজম করতে কষ্ট হচ্ছে যেনো তাদের।সব সময় গম্ভীর্যের চাদরে আবৃত থাকা সাদাত বর হিসেবে এতো পা’গলাটে?বাবা হওয়ার খবরটা শুনতে তর সইছে না তার।বিশ্বাস করতে যেনো কষ্ট হচ্ছে তাদের।সাথে বান্ধবীর এই সুখ দেখে ভালোও লাগছে।সেখান থেকে প্রস্থান করতে পা মেললো তারা।চলে গেলো যে যার গন্তব্যে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে