#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_১৭
#মুসফিরাত_জান্নাত
রাত্রি দ্বি প্রহর।শুনশান নিরাবতায় গ্রাস করে ফেলেছে পুরো কলোনি।অন্তরীক্ষ জুরে বিশালাকার চন্দ্রিমার বিচরণ থাকলেও জানালার গ্রিল ভেদ করে সরাসরি আলো ভেতরটায় পতিত হতে পারছে না।তবে খোলা জানালার ফাঁক গলিয়ে হলদেটে ম্লান আলোয় বাহিরের বাড়িঘর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।পাশের বিল্ডিং এর ছাদ থেকে ঝুলানো বন্য লতারা মৃদু বাতাসে দোদুল্যমান রয়েছে।পাশের টবেই ফুটে রয়েছে কাঠগোলাপের সাদার মাঝে হলুদ রঙা এক গুচ্ছ ফুল।মৃদু পবনে যার মন মাতানো সুমিষ্ট ঘ্রাণ এসে ঠেকছে তাবাসসুমের নাকে।বাবাকে রিলিজ দেওয়ায় অনেকটা প্রশান্ত হয়েছে তার উত্তাল মন।বার বার বাবার সান্নিধ্যে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু আনোয়ার খাঁন এখন গভীর ঘুমে তলিয়ে আছেন।তাই মন চাইলেও বাবার ঘরে যাওয়ার সাধ্য নেই তার।সেই সাথে বিছানায় পিঠ দেওয়ারও সাধ্য নেই।আর কয়েকদিন পর থেকেই তার অনার্স শেষ বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা।বইয়ের পাতায় অনাগ্রহের সহিত চোখ বুলাচ্ছে সে।কিছু প্রহর এভাবে অতিবাহিত হতেই তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জাগ্রত হয়।ঘরের বাহিরে আবছা আলোয় কেও দাঁড়িয়ে আছে স্পষ্ট বোঝে সে।তড়িৎ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়।দরজার সামনে দাঁড়ানো পুরুষালি কায়া দেখে চমকে ওঠে সে।এই আলো আঁধারের মাঝে পুরুষটির ইতস্তত ভাব দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না তার।ভ্রু কুটি করে ফেলে দ্রুত।ভরাট কণ্ঠে সে বলে ওঠে,
“কিছু বলবি?”
কিঞ্চিৎ পরিমান মাথা নাড়ায় ছেলেটি।যার অর্থ সে কিছু বলতে যায়।ভ্রু কুটি করে তাবাসসুম।বিষ্মিত হয়ে বলে,
“তো বাইরে কেনো?ভেতরে আয়।”
এক পা দু পা করে ভিতরে প্রবেশ করে তুষার।চোখে মুখে স্পষ্ট অপরাধ বোধ।কয়েক দিন পূর্বেও যেই বোনের উপর চড়াও হয়ে কথা শুনাতে দু দণ্ড ভাবে নি সে।আজ তার কাছে মুখ দেখাতেই লজ্জা লাগছে।যার দরুন মাথা নুইয়ে আছে সে।মুখে কোনো কথা নেই।ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছেলেটির পূর্বে কখনো এতোটা অনুশোচনা হয়েছে কিনা জানা নেই তার।লজ্জায়,অনুশোচনায় অনেক কিছু বলতে চেয়েও মুখ ফুটে কিছু উচ্চারণ করতে ব্যর্থ হয় তুষার।ভাইয়ের এই অভিব্যক্তির পুরোটায় বিচক্ষণের ন্যায় দেখে গেলো তাবাসসুম।কিন্তু ঠিক কি কারণে তুষার এমন করছে বুঝতে সক্ষম হলো না তার মস্তিষ্ক।চোখে তার অপার বিষ্ময়।আয়াতলেচনা চক্ষু দুটি প্রশস্ত করে তাকায় তাবাসসুম।সন্দিগ্ধ কণ্ঠে শুধায়,
“কিছু হয়েছে তোর?এমন কাচুমাচু করছিস কেনো?কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিস?তোর চিন্তার কিছু নেই, পুরোটা সামলে দিবো আমি।কিন্তু আগে বলবি তো কি হয়েছে?”
বোনের এমন নরম কণ্ঠে ডুকরে ওঠে তুষারের মন।কতো দয়াপূর্ণ তার বড় বোনটা।তাকে সব বিপদ থেকে কেমন ছায়ার ন্যায় আগলে রাখে।অথচ এই মেয়েটিকেই কিনা সে কষ্ট দিয়ে বসেছে।সেদিনের রুঢ় আচরণেও তার প্রতি কোনো রাগ পুষে না রেখে তার অবস্থা নিয়ে ব্যগ্র হয়ে আছে মেয়েটি।তীব্র অপরাধবোধ জেঁকে ধরে তাকে।আচমকা তাবাসসুমের এক হাত জড়িয়ে ধরে সে।কাঁপা কণ্ঠে বলে,
“আমাকে ক্ষমা করো আপু।সেদিন অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি তোমার সাথে।আমার এমনটা করা ঠিক হয়নি।”
হতভম্ব হয়ে যায় তাবাসসুম।বিহ্বলতার দরুন মুখের খেই হারিয়ে আছে সে।এটা তার কল্পনার বাহিরে ছিলো।তুষারকে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে মাথা নত করতে দেখেনি সে।আজ সেই ছেলেই কিনা ক্ষমা চাইছে।তাও এমন কাঁদো কাঁদো হয়ে?ভাইয়ের প্রতি যে সেদিনের ব্যবহারে রুষ্ট হয় নি সে এমনটা নয়।কিন্তু তার চেয়ে অধিক বাবার অবস্থাটা মাথায় খেলেছিলো।তাই তো এসবে পাত্তা দেয় নি তখন।তাছাড়া তুষার,ঐশী তার জীবনের বড় একটা অংশ দখল করে আছে।যার দরুন এদের উপর রাগ পুষে রাখাও তার পক্ষে অসম্ভব।সেই কবেই না তুষারের উপর বসে যাওয়া রাগ ঝেড়ে ফেলেছে সে।সম্পর্কও স্বাভাবিক তাদের।তবে এতোদিনে বোনের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছে বিষয়টা বিষ্ময়েরই বটে।বোনকে নিরব দেখে বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে তুষারের।মনে হয় বোন বুঝি আর ক্ষমা করবে না তাকে।মুহুর্তেই ব্যাথাযুক্ত হয় প্রতিটা নিশ্বাস।মাথা শূণ্য হয়ে যায়।বুকের ভিতর হু হু করে ওঠে।উদ্ভ্রান্ত মষ্তিষ্ক জুরে কেবল মাত্র একটা বিষয়েরই বিচরন।এমন কিছু যদি পেতো যা দিলে তাবাসসুমের মন গলবে তবে পুরো দুনিয়া খুঁজে হলেও সেটা এনে বোনের পায়ে সোপর্দ করতো সে।তবুও যদি তার সাথে আবারও আগের ন্যায় স্বাভাবিক আচরণ করতো তাবাসসুম।এতেই তার প্রশান্তি।কয়েক গুন বেশি অনুতপ্ত হয় তুষার।আরও শক্ত করে হাতের বাঁধন।ব্যাকুল হয়ে বলে,
“আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না আপু।বিশ্বাস করো তুমি।শাস্তি স্বরুপ তোমার যা মনে চায় দাও আমাকে।তবুও এমন চুপ করে থেকোনা।তোমার এই নিরবতা আমাকে চুর্ণ বিচূর্ণ করে দিচ্ছে।অশান্ত হয়ে যাচ্ছি আমি।তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমি ভালো নেই আপু।তীব্র অনুশোচনা চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে আমার।তাই তো এতো রাতে ছুটে এসেছি তোমার কাছে।আমি বুঝতে পারিনি তখন।বুঝলে কখনোই তোমার সাথে ওইরকম আচরণ করতাম না।আমাকে কি একটি বারের জন্যও ক্ষমা করা যায় না?”
কাঁদতে শুরু করে দেয় তুষার।ভাইয়ের এহেন আচরণে শুরুতে হতভম্ব হলেও মন ভরে যায়।ভাইয়ের এতো অনুনয় বিনয়ের কান্না দেখে কি আর তার চোখ শুষ্ক থাকতে পারে?চোখ দুটো নোনাজলে ভরে ওঠে তার।এ জল কিছুটা ব্যাথার,অনেকটা প্রাপ্তির।নিজের এক হাত দিয়ে ভাইয়ের হাত জাপ্টে ধরে সে।অপর হাত দিয়ে ভাইয়ের ভেজা দুই চোখের পানি মুছে দেয়।হালকা হাসার চেষ্টা করে বলে,
“ধুর পা’গল,তোর উপর রাগ পুষে রাখলে তো ক্ষমা করার প্রশ্ন উঠবে।আমি কিছু মনে করিনি।আমার একমাত্র আদরের ভাই তুই।তোর উপর কি রা’গ করা মানায় বল?এই চোখে যেনো আর পানি না দেখি।সবসময় হাসবি।”
বোনের কথায় কিছুটা শান্ত হয় তুষার।ধরা গলায় বলে,
“তুমি সত্যি আমার উপর আর রেগে নেই?”
স্মিত হাসে তাবাসসুম।ভাইকে আশ্বস্ত করে মাথা নাড়ায় সে।বোনের অভিব্যক্তিতেই তুষার বুঝে ফেলে সত্যি সে রাগ করে নেই।অনেকটা সহজ হয় সে।বোনকে জড়িয়ে ধরে বলে,
“তুমি সত্যি অনেক ভালো আপু।আমার জীবনের সেরা পাওনা তুমি।তোমার সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করেও মনে রাখো নি।অথচ তোমার ভাইটা বড্ড বদরাগী।তোমার মতো বোনের ভাই হিসেবে সে কলঙ্ক,একদম বেমানান।”
বুক ভরে শ্বাস নেয় তাবাসসুম।ভাইটা তার সত্যি অবুঝ।কপট রাগ দেখিয়ে বলে,
“খবরদার আমার ভাইয়কে নিয়ে দূর্নাম করবি না।আমাদের চোখের মনি সে।অনেক সাধের জিনিস।তাকে নিয়ে আর একটা কটু কথা বললে তোকে দিবো কয়েক ঘা।”
স্মিত হাসে তুষার।বোনের পরম যত্নে লেপ্টে থাকে কিছু সময়।অতঃপর মাথা তোলে সে।পকেট থেকে একটা চকোলেট বের করে বলে,
“এটা তোমার জন্য।আজ রাতে গিয়ে কিনে এনেছি।তোমার পছন্দের ব্র্যান্ডের।”
স্মিত হাসে তাবাসসুম।হালকা ঢং করে বলে,
“ভালোই তো ঘুষ দিয়ে মন নেয়া শিখেছিস।বড় হলে পাক্কা ঘুষখোর হবি।”
“দুই একটা ঘুষ যদি কারো মনের জ্বালা কমায়,তবে ঘুষ দিতে সমস্যা কি?আর এটা মোটেও ঘুষ নয় ভালোবাসার দান।পছন্দ না হলে ফিরিয়ে দেও।”
“এটা কোন লেভেলের ঘুষ ভাই।দিয়ে আবার ফিরিয়ে নিতে চাস।”
বিষ্মিত ভাব নিয়ে বলে তাবাসসুম।স্মিত হাসে তুষার।রগড় করে বলে,
“আধ্যাত্মিক লেভেলের ঘুষ।ওটা তুমি বুঝবে না।”
এক পশলা হাসে দুজনে।অতপর গম্ভীর কণ্ঠে তাবাসসুম বলে,
“হু বুঝেছি।এখন নিজের ঘরে যা।অনেক রাত হইছে ঘুমা।রাত্রি ভরা দুঃখ বিলাস করলে সকালে আর উঠতে পারব না।তখন আব্বুর খেয়াল রাখবো কেমনে?”
বোনের কথায় যুক্তি খুঁজে পায় তুষার।এক টুকরো মলিন হাসি দিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে।মনে মনে সাদাতের বলা সেদিনের কথাগুলো আরও একবার ভাবে কিছু সময়।সাদাতের কথাগুলোই তাকে নিজের ভুল বুঝতে সহায়তা করেছিলো।সত্যি কতোটা অন্যায় করেছিলো সে।অথচ বিপরীতে তার বোনটি কিছুই বললো না।উল্টো ক্ষমা করে দিলো।এই বোনের নিকট ক্ষমা না চাওয়াটাপ আরেক অন্যায় হতো।একটা লম্বা শ্বাস টেনে নিজের ঘরে চলে যায় তুষার।
_______
ফাল্গুন বিদায়ের অলস অপরাহ্নে আলস্যতা বিরাজ করতে পারেনি পবন মাঝে।নিরলস ভঙ্গিতে নিজের কর্মে ব্যস্ত রয়েছে প্রবাহমান বায়ু।কিছুটা উষ্ণতা ও কিছু শীতলতা মিশ্রিত বাতাস প্রশান্তি দিয়ে যাচ্ছে জনমনে।এমনি এক প্রশান্তিময় অপরাহ্ন বেলায় কিয়ৎক্ষনের জন্য কর্ম থেকে মুক্তি পেয়েছে ঐশী।নিজ রুমে স্টাডি টেবিলে বসে বিনা কারণেই বিবশ সে।মনটা পড়ে রয়েছে তার হসপিটালের করিডরের চাঁদনী রাতে।নিজের একান্ত ব্যক্তিগত পুরুষটির সান্নিধ্যে কাটানো সময়টা মস্তিষ্ক শীতল করছে তার।মন প্রাণে সে চাইছে আবারও একটা সন্ধ্যা নামুক,তার প্রিয়তমের সান্নিধ্য পাক।কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।মুঠোফোনে বন্দী সাদাতের প্রতিরুপ ভিন্ন অন্য কোনো উপায় নেই মনের তৃষ্ণা মেটানোর।ঐশীর ফোনে সাদাতের ঘুমন্ত মুখশ্রীর একটি প্রতিরুপ ধারন করা ছিলো।হসপিটালে একত্রে কাটানো সময়ে ছবিটি বুদ্ধি করে সংরক্ষণ করেছিলো সে।যা নিয়ম করে রোজ এক বেলা দেখে কাটায় ঐশী।এতেই যেন মন ভরে তার।তেমনি আজও মনের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য সাদাতের পিকচারটা বের করে ঐশী।ঘুমন্ত গম্ভীর মুখ শ্রীর এই প্রতিরুপের মাঝে এক অপার্থিব ভালোলাগার সন্ধান পায় সে।যা আনমনেই ঠোঁটের কার্ণিশ প্রশস্ত করে।গভীর দৃষ্টিতে ফোনের এই ক্যামেরাবন্দীর মাঝে ডুব দেয় সে।হটাৎ করে তার ঘরে সাদাতের আগমন হয়।গলা খাকাড়ি দিতেই তড়িৎ ব্যাক বাটনে টাচ করে ফোন আড়াল করে ফেলে সে।হুট করে সাদাতের আগমনে বিভ্রান্ত হয় সে।লজ্জায় ছেয়ে যায় মুখ।ইশ সে যে এতোক্ষণে এই লোকটার ছবিই দেখছিলো, এটা সাদাত যদি বুঝে ফেলতো তবে কেমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো তাকে।নিজেকে দ্রুত ধাতস্থ করে ঐশী।ঐশীর এমন আচরণে বিষ্মিত হয় সাদাত।ভ্রু কুঁচকে বলে,
“কি হয়েছে তোমার?”
“কই কিছু হয় নি তো।”
তড়িৎ উত্তর দেয় ঐশী।চোখ সরু করে ফেলে সাদাত।
“তাহলে এমন করছো কেনো?”
কিছু সময় আমতা আমতা করে ঐশী বলে,
“হটাৎ করে আপনাকে দেখে ভড়কে গিয়েছি।আপনি তো নিজ বাড়িতে ছিলেন।আবার এখানে, তাই তালগোল পাকিয়ে গেছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
ঠোঁট গোল করে বলে সাদাত।কিছু সময় চুপ থেকে হাতে রাখা কিছু শীট ঐশীর দিকে এগিয়ে দেয় সে।
“অনেক দিন হলো তো কলেজে যাও না।তাই গুরুত্বপূর্ণ নোটসগুলো তোমাকে দিতে আসলাম।”
নোটসগুলো নিয়ে টেবিলে রেখে দেয় ঐশী।কিছু সময় ইতস্তত করে বলে,
“আপনি বসুন।আমি চা নাস্তা নিয়ে আসছি।”
কথার সমাপ্তি হওয়ার পূর্বেই দ্রুত প্রস্থান করে ঐশী।মেয়েটির এমন খাপছাড়া আচরণ দেখে বেশ অবাক হয় সাদাত।এরকম করার কারণ ঠাহর করতে মস্তিষ্কে চাপ দিতেই মনে পড়ে সে আসার পূর্বে ফোনের মাঝে ডুবে ছিলো ঐশী।আচ্ছা কি এমন দেখছিলো মেয়েটি,যার দরুন এতোটা আড়ষ্ট হচ্ছে?ঐশীর ফোন হাতে নেয় সাদাত।হোম স্ক্রিনে লক দিয়ে না রাখায় নির্দ্বিধায় ফোন ওপেন করে সে।ফোনের নিচে বা পাশের সমান্তরালে থাকা তিনটা লাইনে ক্লিক করতেই ভেসে ওঠে তার ছবিটি।যা একটু পূর্বে ঐশী গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছিলো।মুহুর্তেই প্রশস্ত হয় সাদাতের অধর।স্মিত হেসে সে নিজ মনেই বলে,
“ক্যামেরাচিত্রের আমি থেকে তার ধ্যান সরে না,জলজ্যান্ত আমিতে কোনো আগ্রহ পায় না।অদ্ভুত তো!”
চলবে