বিষাক্ত প্রেম পর্ব-০৮

0
837

#বিষাক্ত_প্রেম
#পর্ব_8
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

সকালে বাসা থেকে বের হতেই তিতিরের সামনে কিছু ছেলে এসে দাঁড়ালো।
কারো হাতে বেন্ডেজ, পায়ে বেন্ডেজ, চোখে বেন্ডেজ।
তিতির ওদের দেখেই চিনে ফেললো এইগুলো আর কেউ নয় কালকের ছেলে গুলো। কিন্তু এদের এই অবস্থা কেনো..??

একটা ছেলে তিতিরের পায়ে ধরে বলে উঠলো, ‘ মেডাম আমাদের ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দেন মেডাম। ‘
তিতির ভয়ে দূরে সরে যেতে চাইলো। এভাবে হুট করে পায়ে ধরায় ভয় পেয়ে গেলো তিতির।
কাল ওরা কম অসভ্যতামু করেনি৷ বাজে ভাবে গায়েও হাত দিতে চেয়েছে। ওর টাকা গুলো নিয়ে গেছে৷ একটা ছেলে তো ওর হাতে সিগারেট চেপে ধরে ছিলো।

ছেলে গুলো তিতিরের সামনে হাত জোর করে বলে উঠলো, ‘ আপনি আমাদের বইন দরকার হলে মা তাও আমাদের ক্ষমা করে দেন। আমরা আর কোনো দিন কোনো মেয়ের সাথে এমন করবো না। আমরা বুঝতে পারিনাই আফা। আপনার পায়ে ধরি মাফ করে দেন। ‘
তিতিরঃ তোমাদের এই অবস্থা কে করেছে..?
~ চিনিনা আফা।
তিতিরঃ আমার সামনে থেকে যাও না হলে কাটা জায়গায় আরও লবন মরিচ কিভাবে দিতে হয় দেখবে শুধু!!..
~ পিলিজ আফা আপনার আমগর মা লাগেন তাও মাফ কইরা দেন না হলে আমাদের হাত, পা কাট্টা লাইবো। আমাদের পরিবার, সন্তান, বউ, মা-বাবা আছে৷ মাফ করে দেন। ‘
তিতির কিছু একটা ভেবে বলে উঠলো, ‘ দ্বিতীয় বার এমন করতে দেখলে আমি নিজেই তোদের হাত, পা কেটে জেলে রেখে আসবো। আমার ভাই হলো…
~ জানি জানি আফা! ফাহাদ স্যার আপনার ভাই। ইনস্পেক্টর ফাহাদ।
তিতিরঃ মনে থাকে জেনো।
~ একশো বার মনে তাকবো সারা জীবনেও ভুলুম না।

ছেলে গুলো যেতেই তিতির ভাবতে লাগলো কে এই ছেলেগুলোর এমন হ করলো!..? ফাহাদ ভাইয়া..? বাসায় এসে জিজ্ঞেস করতে হবে! কিন্তু আমি তো ফাহাদ ভাইয়াকে কিছু বলিনি! কে বললো..?

তিতির দাঁড়িয়ে আছে ওর পেছনে এসে শার্লিন দাঁড়ালো।
শার্লিনঃ লোকগুলো কে ছিলো..? এই অবস্থা কেনো তাদের..?
তিতিরঃ জানিনা রাস্তার ভীক্ষুক মনে হয়।
শার্লিনঃ কি লুকাচ্ছিস বলতো.. দেখেতো এমন মনে হলো না?
তিতিরঃ কি লুকাবো!! চল লেইট হয়ে যাচ্ছে ভার্সিটিতে।
শার্লিনঃ অফিসে জাবি না..?
তিতিরঃ নাহ্।
শার্লিন খুশিতে জড়িয়ে ধরলো তিতিরকে।

তিতির আর শার্লিন ভার্সিটিতে পৌঁছে সামনে পরলো ইভা৷
ইভা কে দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো শার্লিনের এই বেয়াদব মেয়ে বার বার কেনো ওর সামনেই পড়ে!!
তিতির আর শার্লিন কে দেখে এগিয়ে আসলো ইভা।

ইভা কে দেখেই বেশ বিরক্ত হলো শার্লিন৷

ইভাঃ হেই তোমাদের কোথায় জেনো দেখেছি..!!?
শার্লিনঃ জাহান্নামে!
ইভা একবার শার্লিন আরেক বার তিতিরের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ কীইইইই..!!?’
তিতির বুঝতে পারছে শার্লিন কেনো এমন করছে।
তিতিরঃ হয়তো আপনার মনের ভুল।
ইভাঃ নাহ আমি দেখেছি ফুচকার দোকানে তোমাদের ফারাজের সাথে।
ব্যাস আগুনে ঘি ডালার মতো কথা “ফারাজ”
শার্লিন কিছু বলার আগেই পেছন থেকে সাইফ বলে উঠলো, ‘ হ্যাঁ মিস আমারও মনে হচ্ছে আমি আপনাকে কোথাও দেখেছি কিন্তু মনে করতে পারছিলাম না!ধন্যবাদ মনে করিয়ে উপকার করার জন্য ‘
সাইফকে দেখে মুখ টিপে হাসলো তিতির।
ইভাঃ আমিও এটাই বলছিলাম।
সাইফ ইভার দিকে ভালো করে তাকালো।
সাইফঃ আমি সাইফ মাহমুদ।
ইভাঃ আমি ইভা চৌধুরী।
সাইফঃ ওরা আমার ফ্রেন্ড তিতির, শার্লিন।

ইভা সবার সাথে পরিচিত হলো।
সাইফঃ আপনি কি জানেন আপনাকে দেখে প্রথম আমি আসমানের পরী ভেবে ছিলাম।
ইভা বেশ লজ্জা পেলো।
সাইফঃ আপনি দেখতে পরীদের থেকেও সুন্দর। আপনার হাসি মাতাল করা।আপনার একটা মুচকি হাসিতে আমার মতো কতো যুবকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কারন!!’
ইভাঃ আপনি তো খুব সুন্দর করে কথা বলেন।

ইভার এই কথা শুনে শুরু হয়ে গেলো সাইফের ফ্লাটিং।

শার্লিন তিতিরের হাত ধরে সেখান থেকে নিয়ে গেলো৷
ইভা বেশ অপমান বুধ করলো। সাইফও ওদের পিছু পিছু চলে গেলো ইভা কে বায় বলে।

শার্লিনঃ ডাইনী একটা আসছে পরিচিত হতে। কাটা গায়ে লবন ছিটা মা’রতে।

সাইফ হেঁসে বলে উঠলো, ‘ জ্বলে জ্বলে…’
শার্লিনঃ তোর মাথা জ্বলে।
সাইফঃ না কারো বুক জ্বলে।
তিতিরঃ কোথায় থেকে জেনো পুড়া পুড়া গন্ধ পাচ্ছি।
শার্লিনঃ তিতু তুইও..
তিতিরঃ আহ্ সোনা রাগে না। তোমার জন্য রাজপুত্র নিয়ে আসবো। এটা ভালো না।

শার্লিন হালকা হেঁসে ওদের দিকে তাকালো।

তিতিরের অফিস থেকে কল আসলো এখনি যেতে হবে। ইম্পর্ট্যান্ট ফাইল রয়ে গেছে ওর কাছে৷
তিতির খুবি বিরক্ত হলো ভেবেছিলো আজ ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটাবে।
ওদের বলে ভার্সিটি থেকে বের হতে গিয়ে পরলো ফারাজের সামনে।

ফারাজ কে দেখে তিতির পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে ফারাজ বলে উঠলো, ‘ আপনার পায়ের দিকে লক্ষ করুন।’
তিতির থেমে গেলো৷ ফারাজের দিকে ফিরে তাকাতেই ফারাজ ইশারায় আবার পা দেখালো।
তিতির পায়ের দিকে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। লজ্জায় সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে ফারাজ হেঁসে চলে যাচ্ছে।
ভীষণ লজ্জা পেলো তিতির সে তো ভুল করে দুই পায়ের দুই জুতা পড়ে চলে এসেছে।

লজ্জায় লাল, নীল হয়ে এদিক ওদিক তাকালো। আবার অফিসের কথা মনে হতেই ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে পরলো।

________

তিতির অফিসে এসেই ফাইল নিয়ে মুরতাসিমের ক্যাবিনে গেলো নক না করেই ঢুকে পরলো আর সাথে সাথেই ধাক্কা খেলো কারো সাথে।
তিতির ভেবেছে হয়তো মুরতাসিম।
তিতিরঃ সরি সরি স্যার আমি খেয়াল করিনি!!

মুরতাসিম রক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে আছে সামনের দিকে।
তিতির কোনো সারা শব্দ না পেয়ে উপরে তাকালো। নিজের এতো কাছে অপরিচিত মুখ দেখে এক ধাক্কা দিয়ে দূরে সরে গেলো৷
ছেলেটা এক দৃষ্টিতে তিতিরের দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো,’ আমি নোমান। ‘
তিতির ভয়ে ভয়ে সামনে তাকালো মুরতাসিম ভাবে নিজের কাজ করছে জেনো এখানে ও ছাড়া আর কেউ নেই। ‘
তিতির হাত না বাড়িয়ে বললো আমি তিতির।
নোমানঃ শুধু তিতির..?

মুরতাসিমঃ মিস্টার নোমান আপনি উনার পরিচয় জানার জন্য কোম্পানিতে আসেননি! এটা কোনো পরিচিত হওয়ার জায়গা কিংবা পার্ক নয়।
নোমান অপমানিত হওয়ার পরেও হেঁসে তিতিরকে বলে উঠলো, ‘ তিতির তোমার নাম্বারটা কি আমি পেতে পারি..?’
তিতির এখন কি বলবে? একবার মুরতাসিম আরেক বার নোমানের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আমার একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে এখন আমি আসি। ‘
তিতির চলে যেতে নিলে মুরতাসিম ওকে থামিয়ে নোমান কে বলে উঠলো, ‘ আপনার সাথে আমার ডিল হয়ে গেছে এখন আসতে পারেন।’
নোমানের আর কিছু বলার থাকে না তাও তিতিরের দিকে একবার তাকিয়ে বেড়িয়ে যায়।

তিতির ফাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুরতাসিমের সামনে। মুরতাসিম কিছু বলছে না। না ওকে বসতে বলছে আর না যেতে দিচ্ছে।

তিতির ভালো করে মুরতাসিমের দিকে তাকালো চোখ গুলো কেমন হয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে কাল রাতে ঘুমায়নি।

মুরতাসিম অনেকক্ষন পর তিতিরকে বেরিয়ে যেতে বললো।
তিতির বুঝলো না মুরতাসিম এমন ব্যাবহার কেনো করলো। ফাইলটারও তো কোনো প্রয়োজন পরলো না শুধু শুধু ডেকে আনলো।

তিতির বেরিয়ে যেতেই মুরতাসিম হাতের কাছে এক শো পিস নিচে ছুঁড়ে ফেললো। সে এতোক্ষন নিজের রাগ কন্ট্রোল করে রেখেছে। ভেবেছিলো তিতিরের উপর রাগ দেখাবে কিন্তু তিতিরের দিকে তাকালো উল্টো ওর রাগ সব চলে যাচ্ছে। যেটা ওকে আরও বেশি এখন রাগিয়ে দিচ্ছে। কি আছে এই মেয়ের মধ্যে! যে একজন রাগী পুরুষকে শান্ত করে ফেলে!

কাল রাত তিতিরের গাড়ি ফলো করতে করতে বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছে মুরতাসিম।
মুরতাসিম ভেবে নিয়েছে ফাহিম তিতিরের বয়ফ্রেন্ড আর ওর হাত ধরেই হয়তো তিতির পালিয়ে এসেছে। এটা ভেবে সারারাত ঘুম হয়নি ওর।সত হলেও মুরতাসিমের স্ত্রী তিতির! তিতির ডিভোর্স দিলেও মুরতাসিম এখনো সেটাতে সাইন করেনি। হয়তো স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে একটা পবিত্র বন্ধন যা সামনে আসলে মায়া বাড়ে।
কিন্তু মুরতাসিম তো আর সত্যিটা জানে না।
আবার আজকে নোমানের চোখে অন্য কিছু দেখেছে তিতিরের প্রতি যা দেখে মুরতাসিমের রাগ আরও বেড়ে গেছে।

মুরতাসিম কে ওর এক বন্ধু কল দিলো যাকে মুরতাসিম লাগিয়েছে ফাহাদের সম্পর্কে সব তথ্য বের করতে।

মুরতাসিম বন্ধুর সাথে কথা বলে আরও অবাক হলো। ফাহাদ এখনো বিয়ে করেনি!! বিয়ে না করে একসাথে থাকছে..!!??
সে বন্ধুকে বললো ফাহাদের পরিবার সম্পর্কে বলো।
~ ফাহাদের বাবা নেই। মা আর একটা বোন নিয়ে ওর পরিবার।
মুরতাসিমঃ আর কেউ নেই।
~ হুম আছে। ওর এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র মেয়ে থাকে ওদের সাথে যে ফাহাদের আরেক ছোটো বোন।

শান্ত হয় মুরতাসিম। তাহলে কি মুরতাসিম কে আগে যা বলা হয়েছে সব কিছুতে রহস্য লুকিয়ে আছে!! ওরা কি মুরতাসিমকে মিথ্যা বলেছে!!..?ওর অগোচরে কি রয়ে গেছে কিছু! যা মুরতাসিম জানে না..? সব কিছুর উত্তর মুরতাসিম নিজেই বের করবে।

তিতির নিজের ডেস্কে আসার সময় দিশাকে দেখলো চুপচাপ কাজ করছে। তিতিরকে দেখে একটু হাসলো।

তিতির দিশার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু সময়। উপর দিয়ে মেয়েটা কতো স্ট্রং কিন্তু ওর চোখ বলে দিচ্ছে সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছে সে। এমন স্ট্রং মেয়ে খুব কম দেখা যায়। অন্য কেউ হলে হয়তো ঘরের কোনায় বসে চোখের পানি বিসর্জন দিতো।

তিতির কথা বাড়ালো না। নিজেও মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো।

লাঞ্চের সময় দিশার কাছে গেলো তিতির।

তিতির দিশার দিকে হাত বাড়িয়ে বললো চলো এক সাথে লাঞ্চ করি..!
দিশা কিছুটা অবাক হলো এই প্রথম তিতির প্রথম হেঁসে নিজ থেকে ওর সাথে কথা বললো।
দিশা তিতিরের হাতে হাত রেখে উঠে দাঁড়ালো।

_____________

শার্লিনের এই গম্ভীর ভাব জেনো ফারাজের একদম পছন্দ হচ্ছে না। কি হয়েছে এই মেয়ের.? এমন কেনো করছে,..?

ফারাজের মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো।

ফারাজ ক্লাসে এসে বললো, ‘ আজ আমি তোমাদের ক্লাস থেকে একজন এসিস্ট্যান্ট নিবো। আজকের জন্য । ‘
এই কথা শুনার সাথে সাথে মেয়েরা খুশিতে বলে উঠলো, ‘ স্যার আমি হতে চাই। এটা বলছে আমি ওটা বলছে আমি। ফারাজ দেখলে শার্লিন একবারও সামনে তাকাচ্ছে না। জেনো এইসবে ওর কোনো ইন্টারেস্ট নেই।’

ফারাজঃ চুপ করো সবাই এখানে আমি একটা বাক্স রাখবো যার নাম উঠবে সেই আমার এসিস্ট্যান্ট। ‘

সবাই খুব এক্সাইটেড কে হবে!!..? কে হবে..!!??

একটা ছেলেকে বলা হলো তুলার জন্য।

ছেলেটা সব গুলো মেয়ের দিকে তাকালো সবাই কি পার্থনা করছে নিজেদের নাম উঠার জন্য কিন্তু নাম তো উঠলো শার্লিনের। তা দেখে কিছু মেয়ে রাগী দৃষ্টিতে তাকালো শার্লিনের দিকে শার্লিনও কিছুটা অবাক আর বিরক্ত হলো।
ফারাজ মনে মনে হেঁসে বললো, ‘ এখন তো বের করে ছাড়বো কি হয়েছে..?’

সাইফ ফারাজের দিকে তাকিয়ে হাসলো।সে দেখেছে ফারাজ সব গুলো কাগজে শুধু শার্লিনের নাম লিখে ছিলো কিন্তু কেনো সেটা বুঝতে পারেনি। যা এখন বুঝলো।

সাইফ উপরের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আল্লাহ আমার জন্য কাউকে পাঠাও খুব জলদি। আর কতো এভাবে এতিম থাকবো!’

_____

তিতির আর দিশা রেস্টুরেন্টে এসেছে খাবার খেতে ওরা বসে খাবার খাচ্ছে তখন পাশে এসে বসলো মুরতাসিম।

মুরতাসিম কে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো দিশা।
মুরতাসিম দিশার দিকে তাকিয়ে হেঁসে বললো বসতে।
দিশা হয়তো মুরতাসিমকে এই প্রথম হাসতে দেখলো কিছু সময় তাকিয়ে নিজেও মুচকি হেসে বসলো।
দিশা খুব ভালো করে জানে মুরতাসিম খুব রাগী,গম্ভীর লোক তাই মেসেজ করে তিতিরকে বললো খাওয়া শেষ উঠে আসতে৷

তিতির দিশার দিকে তাকিয়ে দেখলো বেচারির মুখ চোরের মতো হয়ে আছে।

তিতির কিছু বুঝলো না তাও উঠে বলে উঠলো, ‘ আমার খাওয়া শেষ দিশা চলো।’
দিশা হাফ ছেড়ে বাচলো।দিশা উঠে দাঁড়াতেই মুরতাসিম বললো,’ আমার খাওয়া এখনো শুরু হয়নি তিতির আপনি আমার এসিস্ট্যান্ট সো আমার খাবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বসে থাকুন।’
তিতির কাঁদো কাঁদো মুখে মুরতাসিম আর দিশার দিকে তাকালো।
দিশা হেঁসে বললো, ‘ আমি আসি..’
তিতিরঃ দাড়াও আজ আমি তোমাকে খাবার ট্রিট দেওয়ার কথা ভুলে গেছো..? বসো আমি ওয়েটারকে ডাকছি।’
তখন দিশার রিয়াকশন দেখার মতো ছিলো বেচারি।

চলবে….
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে