জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-১০

0
1986

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ১০

আমি চুপ করে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছি। শুভ্র প্রচুর পরিমান রেগে। আমার হাত ধরে মোচর দিয়ে বললো।”

—-” রোজ লাস্ট টাইম জিগ্যেস করছি। আমাকে বল কে তোর বাচ্চার বাবা?”

মামনি এগিয়ে এসে আমার হাত ছাড়ালো। হাত ছাড়িয়ে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,

—-” তুই জানতে চাস কে এই বাচ্চার বাবা? তাহলে শোন এই বাচ্চার বাবা!”

তারআগেই আমি মামনিকে থামিয়ে দিলাম। শুভ্র অবাক চোখে তাকিয়ে বললো,

—-” আম্মু তুমি জানো?”

আমি চোখ মুছে বললাম।”

—-” না মামনি জানে না। মামনি কি করে জানবে?”

শুভ্র আবারো আমার হাত ধরে বললো,

—-” তাহলে তুই বল কে?”

শুভ্রর থেকে আমি নিজের হাত ছাড়িয়ে বললাম!”

—-” আমি তোমাকে বলতে পারবো না,

শুভ্র এবার প্রচুর ক্ষেপে গিয়ে বললো।”

—-” তুই এত নিচ কি করে হতে পারলি? তোকে মামনি আর আঙ্কেল এই শিক্ষা দিয়েছে? তুই যদি না বলিস কে এই বাচ্চার বাবা। তাহলে তুই এই বাচ্চা রাখতে পারবি না রোজ,

আমি অবাক হয়ে বললাম!”

—-” মমমমানে?”

শুভ্র চোখ মুখ শক্ত করে বললো,

—-” তোকে এবর্শন করতে হবে।”

আমি ধপ করে নিচে বসে পড়লাম। এ কোন পরিক্ষা নিচ্ছে আল্লাহ আমার? আমার সাথে এরকম কেন হচ্ছে? শুভ্র তো জানেও না এই বাচ্চা ওর। না জেনে নিজের বাচ্চাকে নিজেই শেষ করতে চাইছে। এখন আমি কি করবো? কোন পথ খুজে পাচ্ছি না আমি। শুভ্র আমার হাত ধরে বললো,

—-” চল ডক্টরের কাছে!”

তখনি ভাইয়া শুভ্রর হাত থেকে। আমার হাত ছাড়িয়ে বললো,

—-” রোজ কোথাও যাবে না শুভ্র।”

শুভ্র অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

—-” এসব কি বলছিস রোদ? তোরা কি চাস রোজের বদনাম হোক?”

ভাইয়া চুপ করে থেকে বললো!”

—-” রোজের কোন বদনাম হবে না শুভ্র,

শুভ্র চেঁচিয়ে বলে উঠলো।”

—-” মানে কি হ্যা? বিয়ের আগে বাচ্চা পেটে। আর তুই বলছিস বদনাম হবে না?”

আমি আর এসব মানতে পারছি না। কেন জানি খুব রাগ উঠে গেলো তাই বললাম,

—-” সে সব না হয় আমাকেই ভাবতে দাও। ও আমার সন্তান তাই আমাকেই বুঝে নিতে দাও প্লিজ!”

মামনিও বলে উঠলো,

—-” হ্যা শুভ্র ওকেই বুঝে নিতে দে।”

শুভ্র এবার ভাবুক ভাবে বললো,

—-” ওয়েট, ওয়েট কি ব্যাপার বলো তো? রোজ এরকম একটা কাজ করে বসে আছে। আর তোমরা জানতে চাইছো না। কে এই বাচ্চার বাবা? এমন বিহেভ করছো যেন তোমরা সব জানো। তোমরা কি কিছু লুকোচ্ছো আমার থেকে?”

সবাই চমকে উঠে বললো!”

—-” কি লুকোবো?”

শুভ্র নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে চাইছে। মামনি আমাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। গাড়িতে উঠতে গেলেই শুভ্র বললো,

—-” তুই কোথায় যাচ্ছিস?”

আমি আমতা আমতা করে বললাম।”

—-” কেন বাড়ি,

শুভ্র রাগী লুক দিয়ে বললো!”

—-” তো আমাদের গাড়িতে উঠছিস কেন?”

মামনি আমার হাত ধরে বললো,

—-” কারন ও আমাদের বাড়ি যাবে।”

শুভ্র চুল ঠিক করতে করতে বললো,

—-” নো আম্মু ও আমাদের বাড়ি যাবে না। কার না কার বাচ্চা তার রেসপন্সিবিলিটি আমরা নেবো নাকি?”

আমি মাথা নিচু করে ফেললাম। মামনি শুভ্রকে ধমক দিয়ে বললো!”

—-” শুভ্র তুই কিন্তুু বেশী বেশী করছিস। ভেবে দেখতো এই সন্তানের বাবা যদি তুই হতি? তাহলে কি রোজকে এভাবে মারতে পারতি? ওর সাথে এমন আচরন করতে পারতি?”

এই কথা শুনতেই শুভ্র নরম হয়ে গেলো। এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মামনি আমাকে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। শুভ্র গাড়িতে উঠে গাড়ি ড্রাইভ করছে। ভাইয়া আর আম্মু নিজেদের গাড়ি নিয়ে বাড়ি গেলো। আর আমরা এই বাড়িতে চলে এলাম। বাড়ি আসতেই মামনি আমাকে বসিয়ে দিয়ে। কিচেনে গিয়ে ফল নিয়ে এলো। আমি হা করে তাকিয়ে আছি। মামনি সেটা দেখে মুচকি হেসে বললো,

—-” হা করে আছিস কেন? তোর প্রেগন্যান্সির ২মাস রানিং। আর আমরা এতদিন জানতামই না। শোন এবার থেকে ঠিকমত খাবি ওকে? আর নিজের শরীরের খেয়াল রাখবি।”

আমি ফল একটু মুখে দিতেই শুভ্র বললো,

—-” আম্মু তুমি এমন বিহেভ করছো। বাচ্চাটা যেন তোমার ছেলের। এমন কেন করছো তুমি?”

মামনি কিছু বললো না। আমার গলা দিয়ে খাবার নামছে না। অনেক কষ্টে কয়েক পিচ ফল খেয়ে উপরে চলে এলাম। রুমের বেলকনির দোলনায় বসে পড়লাম। আর ভাবতে লাগলাম মাএ কয়েকদিনে। আমার জীবনের মোড়টা এভাবে ঘুরে গেলো? আসলেই আমরা যেটা কল্পনাও করি না। কখনো, কখনো বাস্তব হয়ে সেগুলো আমাদের সামনে ধরা দেয়। এভাবেই ২মাস কেটে গিয়েছে। শুভ্র আমার সাথে কথা বলে না। কিন্তুু খারাপ বিহেভও করে না। জানালার পাশে বসে এসবই ভাবছিলাম। আমার প্রেগন্যান্সির ৪মাস হতে চললো। অথচ আমি এখনো আমার স্বামী কে। আমার আর আমার সন্তানের পাশে পেলাম না। পরেরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলাম। শুভ্র সোফায় বসে পেপার পড়ছে। আমাকে দেখে আড় চোখে তাকালো। আমি মামনির কাছে গিয়ে বললাম!”

—-” মামনি আমার কলেজে যেতে হবে। আসলে একটা শিট আনতে হবে ইম্পর্টেন্ট,

মামনি আমাকে নিয়ে শুভ্রর কাছে এসে বললো।”

—-” শুভ্র ওকে কলেজে দিয়ে আয় তো,

শুভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো!”

—-” ওকে নিয়ে যাবো আমি? তুমি কি করে ভাবলে আম্মু? আমি ওকে নিয়ে কোথাও যাবো না,

আমি চোখ মুছে স্লান হেসে বললাম।”

—-” থাক না মামনি আমি চলে যাবো,

শুভ্র তাচ্ছিল্য হেসে বললো!”

—-” ওর বাচ্চার বাবা মেবি ওয়েট করছে,

আমি কেঁদে দিয়ে বললাম।”

—-” প্লিজ শুভ্র ভাই চুপ করো। আমার সন্তানকে নিয়ে কিছু বলো না। কে ওর বাবা সেটা আমিতো জানি। তাই তোমার এসব না বললেও চলবে,

বলে আমি একাই চলে এলাম। আজকে কি কোন রিক্সা নেই নাকি? কলেজেও তাড়াতাড়ি যেতে হবে। সামনে পেতে পারি ভেবে হাটা দিলাম। অনেকটা হাটার পরও কোন রিক্সা পেলাম না। এরমধ্যে একটা গাড়ি এসে আমার সামনে থামলো। আচমকা এভাবে গাড়ি থামায় ভয় পেয়ে গেলাম। পরে তাকিয়ে দেখি এটা শুভ্র। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। শুভ্র মুখটা বাঁকিয়ে বললো!”

—-” তোর জন্য জনম, জনম দাড়িয়ে থাকতে পারবো না। তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠে আয় প্লিজ,

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম।”

—-” তুমি নাকি আসবে না?”

শুভ্র এবার রেগে বললো,

—-” দেখ রোজ একদম ফুটেজ খাবি না। তুই গাড়িতে আসবি নাকি আমি আনবো?”

আমি চুপচাপ গাড়িতে উঠলাম। শুভ্র আমাকে নিয়ে কলেজে এলো। আমি ভেতরে যেতেই রাহি এসে বললো!”

—-” শুনলাম শুভ্র নাকি তোমাকে ভুলে গিয়েছে? মানে তোমাদের বিয়ের কথা ভুলে গিয়েছে?”

আমি রাহিকে কিছু বললাম না। কি লাভ ওর সাথে কথা বলে? নিজের কাজ সেরে আবার চলে এলাম। শুভ্র এখনো এখানেই আছে। আমি চুপচাপ গাড়িতে বসে পড়লাম। শুভ্রও কোন কথা বলছে না। গাড়ি এসে বাড়ির সামনে থামতেই। আমি বাড়ির ভেতর চলে এলাম। আমার পিছনে শুভ্রও এলো, তখনি শুনলাম,

—-” শুভ্র শোনো।”

সাথে সাথে ঘুরে তাকালাম। কারন এটা রাহির গলার আওয়াজ। তাকাতেই দেখি রাহি শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বললো,

—-” আই মিসড ইউ সো মাচ বেবি!”

শুভ্র রাহিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললো,

—-” তুমি এখানে কি করছো?”

রাহি মুচকি হেসে বললো।”

—-” তোমাকে একটা কথা জানাতে এসেছি। তুমি জানতে চাও না রোজের বেবির বাবা কে?”

আমি অবাক হয়ে তাকালাম। ও এসব কি করে জানলো? তাহলে কি ও শুভ্রকে বলবে? যে শুভ্র এই বাচ্চার বাবা। শুভ্র রাহির কথা শুনে বললো,

—-” হ্যা তুমি জানো?”

রাহি আমার দিকে তাকিয়ে বললো!”

—-” খুব ভাল করে জানি,

আমি রাহিকে চুপ করতে বললাম। কিন্তুু রাহি যার নাম বললো। আমি স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম, রাহি হেসে বললো।”

—-” আমাদের ইয়ারের সামির। সামির রোজের বাচ্চার বাবা,

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। রাহি এটা কি করে বলতে পারলো? মানুষ এতটা খারাপ কি করে হয়? কেন এরকম হচ্ছে আমার সাথে? আমার যেই সন্তান এখনো পৃথিবীর আলো দেখেনি। তাকে নিয়ে এত বাজে প্রশ্ন? এত বাজে কথা কেন হচ্ছে? শুভ্র আমাকে টেনে নিয়ে বললো!”

—-” ও এসব সত্যি বলছে?”

আমি কিছু বলতে পারছি না। শুধু মাথা নাড়িয়ে না বললাম। শুভ্র রাহির দিকে তাকিয়ে বললো,

—-” ও তো না বলছে। তাহলে তুমি মিথ্যে বলছো কেন?”

রাহি শয়তানি হাসি দিয়ে বললো।”

—-” তাহলে সত্যিটা ওকে বলতে বলো। বাচ্চাটা কি বৈধ নাকি অবৈধ?”

আমি মাথা নিচু করে কান্না করছি। তখন মামনি সেখানে এসে বললো,

—-” এই বাচ্চা রোজের স্বামীর। রোজ কোন অবৈধ সন্তানের মা না। ওর বিয়ে হয়েছে তাই ওর বাচ্চা হচ্ছে!”

শুভ্র মনে হয় আকাশ থেকে পড়লো। শুভ্র মামনির সামনে এসে বললো,

—-” আম্মু তুমি এসব কি বলছো? রোজের বিয়ে হয়েছে মানে?”

রাহি মানে মানে কেটে পড়লো। আমি আর এসব নিতে পারছি না। তাই চিৎকার করে বলে উঠলাম।”

—-” প্লিজ এসব বন্ধ করো। আমি আর এসব নিতে পারছি না,

বলে দৌড়ে রুমে চলে এলাম। রাত ১১টা ছাদের দোলনায় বসে আছি। চোখ দিয়ে না চাইতেও পানি পড়ছে। বাম হাত দিয়ে সেটা মুছছি। এরমাঝে কাঁধে কেউ হাত রাখলো। বুঝতে পারলাম এটা শুভ্র। শুভ্র আমার পাশে বসে বললো!”

—-” এতরাতে এখানে কি করছিস?” ছাদে তো বেশ অন্ধকার এখন,

তাচ্ছিল্য হেসে বললাম।”

—-” যার জীবনটা অন্ধকারে ঘেরা। এইটুকু অন্ধকারে তার কি হবে?”

হঠাৎ করে শুভ্র আমার হাত ধরে বললো,

—-” তোকে যা জিগ্যেস করবো। তার ঠিক, ঠিক উত্তর দিবি রোজ?”

আমি পারবো না মিথ্যে বলতে তাই হ্যা বললাম। শুভ্র আমার হাত ছেড়ে বললো!”

—-” আমাকে বল তোর স্বামী কোথায়? তুই বিয়ে করে নিলি রোজ?”

আমি বসা থেকে দাড়িয়ে। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম,

—-” আমার স্বামী আমাকে ভুলে গিয়েছে। আমাকে ওর মনে থাকলেও। আমাদের বিয়ের কথা ওর মনে নেই। জানো শুভ্র ভাই? ও বলেছিলো ও আমাকে ভুলে যাবে না। ও কিন্তুু ওর কথা রেখেছে। ও আমাকে ভুলে যায়নি। কিন্তুু আমাদের বিয়ের কথাটা ভুলে গিয়েছে। আর যার বিয়ের কথাই মনে নেই। তার আমার সন্তানের কথা কি করে মনে থাকবে? জানো তো ও আমাকে অনেক ভালবাসে। আমিও ওকে অনেক ভালবাসি। খুব কষ্ট হয় ওর থেকে দুরে থাকতে।”

বলতে বলতে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। পিছনে ঘুরে দেখলাম শুভ্রর চোখেও পানি। বুঝতে পারলাম না শুভ্র কেন কাঁদছে? আমি কিছু বলতে যাবো তারআগেই শুভ্র বললো,

—-” তুই নিচে চলে যা রোজ!”

আমি চুপচাপ শিরি বেয়ে চলে এলাম। তখনি কানে ভেসে এলো। শুভ্রর কান্না ভেজা গলার গান,

??তেরে বিন জিনা হে এ্যাসে??
??দিল ধারকা না হো জ্যাসে??
??ইয়ে ইস্ক হে কেয়া দুনিয়া কো??
??হাম সামঝায়ে ক্যাসে??

আমি আবার ছাদে চলে এলাম। কিন্তুু ছাদের দরজায় দাড়িয়ে রইলাম। শুভ্র ডান হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে। নিজের চোখের পানি মুছছে আর গাইছে।”

??আআ দিলোকি রাহো মে??
??হাম কুছ এ্যাসা কার জায়ে??
??এক দুজে সে বিছড়ে তো??
??সাস লিয়ে বিন মার জায়ে??

এক হাত ছাদের বাউন্ডারিতে ঘুষি মারলো। আর গানের পরের লাইন গাইলো,

??ওও খোদা, বাতা দে কেয়া লাকিরো মে লিখা?
??হামনে তো, হামনে তো বাচ ইস্কেহে কিয়া??

“বাকিটা শুনে নেবেন”

শুভ্র গানটা গাইতে গাইতে ধপ করে বসে পড়লো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। শুভ্র কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো!”

—-” তুই কেন বিয়ে করলি রেড রোজ? আমি, আমি যে তোকে ভালবাসি। আর তুই কি না অন্যকাউকে বিয়ে করলি? তাকে ভালও বাসিস তুই?” জানিনা এমন কেন হলো? তোর বাচ্চার জন্যই বা আমার এমন ফিলিংস কেন হয়? আমি জাস্ট কিছু বুঝতে পারছি না। এমন মনে হচ্ছে আমি যেন কিছু ভুলে গিয়েছি। তুই কেন বিয়ে করলি অন্যকাউকে?”

আমি শকড হয়ে তাকিয়ে ভাবছি,

—-” শুভ্র আমাদের বিয়ের কথা ভুলে গেলেও। আমার প্রতি ওর ভালবাসাটা ও ভুলে যায়নি। ভালবাসা, ফিলিংস সব এখনো মনে আছে। কিন্তুু ওর কবে সব মনে পড়বে?”

এরমাঝে শুভ্র উঠে দাড়ালো। আর আমি সরে দাড়ালাম। শুভ্র চোখ, মুখ শক্ত করে বললো।”

—-” না রোজ অন্যকারো বউ। তাই আমি ওকে নিয়ে ভাববো না,

বলে নিচে নেমে গেলো। আর আমি শিরির পাশে লুকিয়ে গেলাম। মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো। পরেরদিন সকালে ড্রয়িংরুমে নামবো। তাই রুম থেকে বের হলাম। শুভ্রর রুমের সামনে দিয়ে যেতে গেলেই দেখলাম। শুভ্র কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে কিছু খুজছে। আমি কিছু না বলে চলে এলাম। আমি চলে আসতেই শুভ্র বললো!”

—-” ড্যাম ইট কোথায় গেলো? এত ছোট জিনিষটা হারিয়ে গেলো? কোথাও আম্মু স্টোর রুমে রেখে দেয়নি তো? কাল একবার স্টোর রুমে গিয়ে দেখবো,

#চলবে…

“খুব তাড়াতাড়ি শুভ্রর সব মনে পড়বে। বুঝতে পারছি আপনাদের এভাবে ভাল লাগছে না। তাই গল্পের রেসপন্স অনেক কমে যাচ্ছে। আমি যত তাড়াতাড়ি পারি। শুভ্রর সব মনে করিয়ে গল্পটা শেষ করে দেবো”?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে